রবিবার, ১৪ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা
ফের পাল্টাপাল্টি দুই দলের

তত্ত্বাবধায়ক সরকারই সমাধান : ফখরুল

বিক্ষোভ সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

তত্ত্বাবধায়ক সরকারই সমাধান : ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, অবিলম্বে আপনাদের পদত্যাগ করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এটাই আপনাদের বাঁচার একমাত্র পথ। এটাই একমাত্র সমাধান। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন না দিলে, সে নির্বাচন রুখে দিতে হবে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চাইলে তা রুখে দেওয়ার জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, যেটা প্রতিষ্ঠিত সত্য, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। গতকাল বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। সমাবেশ থেকে দলটির মহাসচিব চার পর্বে চার দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণসহ বিএনপির ৮৩টি সাংগঠনিক জেলায় চার পর্বে চার দিনে যুগপৎভাবে এ কর্মসূচি পালিত হবে। আগামী ১৯ মে শুক্রবার ঢাকা মহানগর উত্তরসহ ২৮ জেলায় ও মহানগরে প্রতিবাদ সমাবেশ। ২০ মে শনিবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণসহ ২১ জেলা ও মহানগর, ২৬ মে ঢাকা উত্তরসহ ২০ জেলা ও মহানগর, ২৭ মে ঢাকা দক্ষিণসহ ১৫ জেলা ও মহানগরে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করবে দলটি। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান। পরিচালনা করেন মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু। বিএনপি নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আবদুল আউয়াল মিন্টু, আবদুস সালাম, আহমেদ আযম খান, হাবিবুর রহমান হাবিব, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, আবদুস সালাম আজাদ, মীর শরাফত আলী সপু প্রমুখ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা দীর্ঘকাল ধরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করছি। আপনারাও (আওয়ামী লীগ) তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছিলেন। সে আন্দোলনে ১৭৩ দিন হরতাল করেছিলেন, মানুষ মেরেছিলেন। রোজার ঈদের দুই সপ্তাহের বিরতির পর আবারও রাজধানীতে বড় ধরনের শোডাউন করল বিএনপি। এর আগে গত ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে রাজধানীতে আরেকটি শোডাউন করে দলটি। গতকাল নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে অসংখ্য নেতা-কর্মীর ঢল নেমেছিল। দলের চেয়ারপারসন কারাবন্দি অসুস্থ খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবি আদায় এবং গায়েবি মামলায় নির্বিচারে গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগরীর কর্মসূচি হলেও ঢাকার আশপাশের জেলাগুলো থেকে হাজার হাজার নেতা-কর্মী সমাবেশে উপস্থিত হন। একদিকে কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড়, বিজয়নগর, অন্যদিকে ফকিরাপুল ও আরামবাগ মোড় এবং আশপাশের এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, যেখানে কোনো ঘটনাই ঘটেনি, সেখানে ককটেল ফাটানোর মামলা দেওয়া হয়। এসবের উদ্দেশ্য হচ্ছে- আবারও গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকা। সে জন্যই আবারও গায়েবি ও মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। সভায় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা নতুনভাবে শপথ নিতে চাই। দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্র হত্যাকারী শেখ হাসিনা সরকারকে বিদায়ের জন্য ইস্পাত কঠিন আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এই সরকারকে বিদায়ের পরই ইনশা আল্লাহ আমরা ২৭ দফার ভিত্তিতে রাষ্ট্রকে নতুনভাবে মেরামত করব। সমাবেশে বিএনপির আবদুল আউয়াল মিন্টু, আহমেদ আজম খান, হাবিবুর রহমান হাবিব, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ফজলুল হক মিলন, শ্যামা ওবায়েদ, রফিকুল ইসলাম, শিরিন সুলতানা, তাবিথ আউয়াল, ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, আ ন ম সাইফুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন সরদার, শ্রমিকদলের মো. সুমন ভূইয়া ও সদস্য সচিব বদরুল আলম সবুজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর