রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে আসতে ভয় পায়। তারা জনগণের রায়ের মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছে। তাদের অনেকবার নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়েছেন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদকসহ অনেক নেতা বলেছেন। আমাদের জায়গা থেকে আমিও বলেছি। কিন্তু তারা নির্বাচনে না এসে আবারও ২০১৪-১৫ সালের জ্বালাও-পোড়াওয়ের মতো অবস্থা তৈরি করতে চাইছে। গতকাল রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডা. কাইছার রহমান চৌধুরী মিলনায়তনে রাজশাহীর তানোর-গোদাগাড়ী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত তাদের পুরনো খেলা আবার খেলছে। তারা নির্বাচনে আসতে চায় না। তারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চায়। তাদের শর্ত মেনে নিলে তারা নির্বাচনে আসবে। তাদের শর্ত মানার মতো নয়। তাদের শর্ত অসাংবিধানিক। সেটি মামার বাড়ির আবদার বলে জাতির কাছে মনে হচ্ছে। তাদের দাবি হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকার হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। অথচ সংবিধান বলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন নেই। দেশের সর্বোচ্চ আদালত বলে দিয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আর প্রয়োজন নেই। ভারত, ইংল্যান্ডসহ উন্নত দেশে যেভাবে নির্বাচনকালীন সরকার হয়, সেভাবেই সরকার হবে। এর প্রধান থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একটি উন্নত, সভ্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে হয়। আমরা এখন যথেষ্ট উন্নত। আয়ের দিক দিয়েও একটা পর্যায়ে পৌঁছে গেছি। আমাদের কাউকে মাঝখানে রেখে ভোট করতে হবে সেই বাস্তবতা নেই।’ খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিএনপি ২০১৪ সালে নির্বাচনে আসেনি। এরপর তারা জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন করেছে, মানুষের সর্বনাশ করেছে, মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। যারা অগ্নিদগ্ধ তারা বুঝছে পুড়ে যাওয়ার কষ্ট। তারা আবারও মানুষকে ভয় দেখিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে চায়। তা কি সম্ভব? ২০১৪ সালে নির্বাচন বন্ধ করতে পেরেছিল? পারেনি। নির্বাচন থেমে থাকেনি। এবারও থেমে থাকবে না। রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি বদরুজ্জামান রবু মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, কাঁকনহাট পৌরসভার মেয়র এ কে এম আতাউর রহমান, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট একরামুল হক প্রমুখ।
