সড়ক দুর্ঘটনা রোধে পৃথক আইনি কাঠামো তৈরিসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছে ‘রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ’। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
‘বাংলাদেশে সপ্তম জাতিসংঘ বৈশ্বিক নিরাপদ সড়ক সপ্তাহ-২০২৩’ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ। এতে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের সড়ক নিরাপত্তা কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার এম খালিদ মাহমুদ, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোড সেফটির প্রকল্প পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান ভূঞা, বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশনের (বিএনএনআরসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইচ এস বজলুর রহমান, সিআইপিআরবির আরটিআই প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ ইউনিটের রোড সেফটি প্রকল্প ম্যানেজার কাজী বোরহান উদ্দিন, নিসচার মহাসচিব লিটন এরশাদ, ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হক কামাল প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে নিসচা চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘রোড ক্রাশের ফলে দেশের স্বাস্থ্য খাতে চাপ বাড়ছে এবং অর্থনীতির (জিডিপি) বড় ধরনের ক্ষতি হচ্ছে। পাশাপাশি পারিবারিক পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন অনেকে। দেশে সফলভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত্যু হার কমিয়ে আনা গেলেও সড়কে প্রতিনিয়ত মৃত্যু ঘটছে, আহত হচ্ছেন অনেকে। কিন্তু এটি প্রতিরোধযোগ্য।’ সংগঠনটির দাবিগুলো হলো- সড়কে মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে পৃথক আইনি কাঠামো তৈরি করতে হবে- যেখানে নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ সড়ক তৈরি, নিরাপদ মোটরযান, নিরাপদ সড়ক ব্যবহারকারী ও দুর্ঘটনা পরবর্তী চিকিৎসাকে বিবেচনায় নিয়ে নতুন আইন থাকবে। এ ছাড়া ন্যাশনাল রোড সেফটি অথরিটি নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন, সড়ক দুর্ঘটনা বিষয়ে সঠিক তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহের একটি বৈজ্ঞানিক এবং গ্রহণযোগ্য পদ্ধতির জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
