রবিবার, ৪ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা
বাজেট নিয়ে এফবিসিসিআই

বিদ্যুৎ খাতে আরও বরাদ্দ দেওয়া উচিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি (এফবিসিসিআই)-এর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেছেন, বাজেটে বিদ্যুৎ খাতে আরও বেশি বরাদ্দ দেওয়া উচিত। বিদ্যুৎ থাকা জরুরি। অন্ধকারের খরচ বেশি। কোথায় বিদ্যুৎ দিলে অর্থনীতি সচল থাকবে তা আমাদের দেখতে হবে।

রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই আইকনে গতকাল ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি  এসব কথা বলেন। ঢাকা চেম্বার সভাপতি ব্যারিস্টার সমীর    সাত্তার, এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চোধুরী, সহসভাপতি আমিন হেলালী, হাবিবুল্লাহ ডন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মো. জসিম উদ্দিন বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে জমি ও অ্যাপার্টমেন্ট রেজিস্ট্রেশনকালে উৎসে আয়কর বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া সিমেন্ট, পাথর, টাইলস, লিফট, সিরামিক, গ্লাস, সুইচ-সকেট, কিচেন ওয়্যারসহ ১০-১২টি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এতে নির্মাণ খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, যথাযথ বিনিয়োগ ও শিল্পোন্নয়ন ছাড়া অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখা সম্ভব নয়। রাজস্ব নীতিতে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা জরুরি, যাতে বিনিয়োগকারীরা আস্থার সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যেতে পারেন। বাজেট বক্তব্যে পর্যটন শিল্পের বিকাশে পর্যটন মহাপরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন আবাসিক হোটেলের জন্য মূলধনী যন্ত্রপাতি ও উপকরণ আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা সংক্রান্ত এসআরও বাতিল করা হয়েছে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত পর্যটন শিল্পের বিকাশে অন্তরায় হিসেবে কাজ করবে। জসিম উদ্দিন বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে কয়েকটি পণ্যে ১৫ শতাংশ, ৫ শতাংশ, ৭.৫ শতাংশ, ২ শতাংশ হারে মূসক আরোপ করা হয়েছে, যা মূসক আইনের মৌলিক নীতিমালার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। পণ্য এবং সেবা খাতে একক ১৫ শতাংশ হারে মূসক আরোপ করা হলে খাত নির্বিশেষে সব পণ্য-সেবা খাত বিভিন্ন এসআরওভিত্তিক অসম কর হার এবং জটিলতা থেকে রেহাই পাবে। কর ব্যবস্থা সহজ ও সরল হবে।

সর্বশেষ খবর