মঙ্গলবার, ৬ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা
সরগরম সিটি নির্বাচনের মাঠ

বিএনপির ১৬ জন হচ্ছেন বহিষ্কার প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা

রাজশাহী

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

বিএনপির ১৬ জন হচ্ছেন বহিষ্কার প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা

সিটি করপোরেশনসহ সব নির্বাচন বয়কট করছে বিএনপি। দলটির সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন এমন ১৬ নেতাকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে মহানগর বিএনপি। এর মধ্যে ১১ পুরুষ ও পাঁচ নারী প্রার্থী আছেন। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব তাদের তালিকা রবিবার কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন।

দলীয় সূত্র মতে, রাসিক নির্বাচনে অংশ না নিতে রাজশাহী মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। সে কারণে মেয়র পদে কেউ অংশ নেননি। তবে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন ১৬ জন। এর মধ্যে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বদিউজ্জামান বদি, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে আবু বাক্কার কিনু, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে মো. টুটুল, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে আবদুস সোবহান লিটন, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে বেলাল হোসেন ও রনি হোসেন রুহুল, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে নুরুজ্জামান টিটো, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে মির্জা পারভেজ রিপন, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে আলিফ আল মাহমুদ লুকেন, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে আনোয়ারুল আমিন আজব এবং ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে আশরাফুল হাসান বাচ্চু। সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে রাজশাহী মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মুসলিমা বেগম বেলী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আলতাফুন নেসা পুতুল, মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুন নাহার, সহসভাপতি শাহনাজ বেগম শিখা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আয়েশা খাতুন মুক্তি। মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও কাউন্সিলর প্রার্থী আনোয়ারুল আমিন আজব বলেন, ‘কাউন্সিরর পদে দলীয় ভোট করার সুযোগ নেই। এলাকার জনগণের অনুরোধে আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। দল এখন ব্যবস্থা নিলে কিছু করার নেই।’ সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের প্রার্থী ও মহানগর মহিলা দলের নেত্রী শামসুন নাহার বলেন, ‘আমরা দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি না। গতবারও নির্বাচিত হয়েছিলাম। নিজের দায়বদ্ধতা থেকে ভোট করছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যদি আসে, সেটা নিয়ে পরে কথা হবে।’ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ইশা বলেন, ‘আমরা বারবার হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরেও দলীয় অনেকেই কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রে চিঠি দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই তাদের বহিষ্কার করে কেন্দ্র চিঠি দেবে। দল করলে দলের সিদ্ধান্ত মানতে হবে।’

আরেকবার সুযোগ আর পরিবর্তনের দাবি নিয়ে প্রার্থীরা : রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পিছিয়ে পড়া ওয়ার্ডগুলোর উন্নয়নে আরেকবার সুযোগ চাচ্ছেন সদ্য সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী মুরশিদ আলম ফারুকী চাচ্ছেন পরিবর্তন। এই দুই প্রার্থীর প্রচারণায় এখন সরগরম রাজশাহী। আওয়ামী লীগ প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন নগরীর ২ নম্বর ওয়ার্ডের নতুনপাড়া, নগরপাড়া, আশ্রয়ণ এলাকায় গতকাল গণসংযোগ করেন। পথসভায় এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীতে অনেক কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। করোনা সংক্রমণ দেখা দিলে তা মোকাবিলা ও মানুষ বাঁচাতে আমরা ব্যস্ত হয়ে পড়ি। করোনার পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলারের দাম বৃদ্ধি নানা কারণে অনেক কাজ সমাপ্ত করা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যেও রাজশাহীতে উন্নয়ন করেছি। রাজশাহীর সুনাম বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। আমি আবার নির্বাচিত হলে বাকি কাজ সমাপ্ত করব। আগামীতে আমি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চাই। খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, অপপ্রচারকারীরা মাঠে নেমেছে। তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী মুরশিদ আলম ফারুকী প্রচারণা চালান সিঅ্যান্ডবি, লক্ষ্মীপুর এলাকায়। তিনি বলেন, ‘এখন নির্বাচনী পরিবেশ যেমন আছে, শেষ পর্যন্ত যেন তেমনি থাকে প্রশাসনের কাছে সেই প্রত্যাশা রাখি। নৌকার প্রতি মানুষের ক্ষোভ জন্মেছে। তারা পরিবর্তন চায়। সেই পরিবর্তন এনে দিতে পারে হাতপাখা।’ জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন গণসংযোগ করেন নগরীর টুলটুলিপাড়া এলাকায়। তিনি বলেন, লাঙ্গলের প্রতি মানুষের আস্থা বেড়েছে। দ্রব্যমূল্যের যে অবস্থা, এখান থেকে মানুষ পরিত্রাণ চায়।

সর্বশেষ খবর