আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির দাবি শেখ হাসিনার পদত্যাগ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ হবে সংবিধানের চরম লঙ্ঘন। আমরা সংবিধান লঙ্ঘন করতে পারি না। গতকাল সকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সম্পাদকমন্ডলীর সভায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচন হবে আমাদের নিয়মে, সংবিধানে যেভাবে লেখা আছে। এর বাইরে কারও চক্রান্তমূলক অভিলাষ বাস্তবায়ন হতে দেবে না আওয়ামী লীগ।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আমাদের বিপরীতে যারা অবস্থান করছেন, তারা সাম্প্রদায়িক অপশক্তি। পাকিস্তান-আফগানিস্তানের বন্ধু, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক। তিনি প্রশ্ন রাখেন- এই ষড়যন্ত্রকারীদের তৎপরতার কাছে আমরা কি সারেন্ডার করব? সারেন্ডার করে এ দেশের মাটি, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব, স্বাধীনতা, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজনৈতিক বিজয়, উন্নয়ন অভিযাত্রা সব বিসর্জন দেব?
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি সারা দেশে হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে। হত্যার শিকার হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। আর নির্জলা মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিএনপি চিরাচরিতভাবে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে সহিংসতা ঘটানো হচ্ছে। রাজনৈতিক অপশক্তির হোতা বিএনপি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটিয়ে বিদেশিদের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছে। নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে। ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রার্থী যে-ই হোক, তাকে প্রার্থী হিসেবেই দেখছে সরকার। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কাজী জাফরুল্লাহ, ড. আবদুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুরসহ সম্পাদকমন্ডলীর অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।