রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে গতকাল বাদ জুমা মাদরাসাছাত্র হাফেজ রেজাউল হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য। এ সময় অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে সেখানে মোতায়েন করা হয় বিপুলসংখ্যক পুলিশ। প্রস্তুত রাখা হয় প্রিজন ভ্যান, রায়ট কার এবং জলকামান।
রাজধানীর গুলিস্তানে যুবলীগ-ছাত্রলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগের শান্তি সমাবেশে নৃশংসভাবে খুন হওয়া মাদরাসা শিক্ষার্থী হাফেজ রেজাউল করিমের বিচার দাবিতে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য।
ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় শাহবাগ চত্বরে ছাত্র সমাবেশ করবে সংগঠনটি। গতকাল বাদ জুমা রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে হাফেজ রেজাউলের হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। এদিকে, জুমার নামাজ শুরুর আগে থেকেই বায়তুল মোকাররম এলাকায় যে কোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থান দেখা গেছে পুলিশের। পুরানা পল্টন মোড়, বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট এবং দৈনিক বাংলা মোড়ে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়।
সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের প্রধান সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের সভাপতি পরিষদের সদস্য মুহাম্মাদ কামাল উদ্দীনের সঞ্চালনায় সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের মুখপাত্র ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, কথিত শান্তি সমাবেশের নামে নিরপরাধ নিরীহ মাদরাসা শিক্ষার্থী হাফেজ রেজাউলকে রাজপথে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে। এ খুনের সঙ্গে ছাত্রলীগ, যুবলীগ জড়িত তা এখন জাতির কাছে স্পষ্ট। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের পর থেকে এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেশের ছাত্রসমাজ প্রত্যাশিত কোনো পদক্ষেপ দেখেনি। যা ছাত্রসমাজের মাঝে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার জন্ম দিয়েছে। এ সময় নিজাম উদ্দিন আল আদনান, বি এম আমির জিহাদী, মুহাম্মাদ খালেদ সাইফুল্লাহ, মোল্লা মুহাম্মাদ খালিদ সাইফুল্লাহ, আহমেদ শাকিল, সভাপতি মাসুদ রানা জুয়েল, জামিল সিদ্দিকী।
পুলিশের সতর্ক অবস্থান নিয়ে মতিঝিল জোনের অতিরিক্ত সহকারী কমিশনার রওশন হক সৈকত বলেন, আমাদের কাছে নাশকতার কোনো তথ্য নেই। তারপরেও যে কোনো সময়ে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে আমরা প্রস্তুত।