প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে বস্তায় আদা চাষ শুরু করেছেন বরিশালের কৃষি উদ্যোক্তা মো. আল মাসুদ। এতে সফলতা পাবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন গৌরনদী উপজেলার এ কৃষি উদ্যোক্তা। তিনি জানান, আধুনা গ্রামের বার্ষিক ইজারা নেওয়া ১ একর জমিতে ড্রাগন ফলের পাশাপাশি বস্তায় আদা চাষ করছেন। প্রতি বস্তায় আধা কেজি করে ৮ হাজার কেজি আদা পাওয়ার লক্ষ্য ছিল তাঁর। কিছু গাছ মরে যাওয়ায় ৬ হাজার ৫০০ গ্রাম থেকে ৭ হাজার কেজি আদা পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন। এতে ২৫০ টাকা কেজি দরে ৭ হাজার কেজি আদা বিক্রি করলেও তিনি পাবেন ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে নয় মাসে সাড়ে ৭ লাখ টাকা লাভের স্বপ্ন দেখছেন এ কৃষি উদ্যোক্তা। বরিশাল জেলায় তিনিই প্রথম ব্যক্তি হিসেবে বাণিজ্যিকভাবে আদা চাষ করছেন। অন্যান্য ফলদ ও বনজ গাছের নিচে আদা চাষ করা যায় বলে একে সম্ভাবনাময় ফসল অভিহিত করেন মো. আল মাসুদ। এ প্রতিবেদককে তিনি জানান, আগে ব্যবসা করতেন। ২০২১ সালে ড্রাগন ফলের চাষ দিয়ে কৃষি উদ্যোক্তা হয়েছেন। বর্তমানে ড্রাগন ফলের বাগানে ১৬ হাজার বস্তায় আদা চাষ করছেন। রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বারি-১, থাই ও পাহাড়ি জাতের আদা চারা এনে এপ্রিলে রোপণ করেছেন। আগামী ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারিতে এসব আদা বিক্রির জন্য উত্তোলন করা যাবে। আল মাসুদ জানান, প্রতি বস্তায় তাঁর খরচ হয়েছে ৬৫ টাকা। ১৬ হাজার বস্তায় খরচ ১০ লাখ ৪ হাজার টাকা। প্রতি বস্তায় ৮ কেজি মাটি ও ছাই, ১ কেজি বালু ও জৈবসার, কাঠের গুঁড়া, নারকেলের ছোবড়া, ২ কেজি কোকো পাউডার দিয়ে পরিপূর্ণ করে ৭০ গ্রাম আদা চাষ করা হয়েছে। তিনি জানান, প্রতি বস্তায় আধা কেজি করে ফলন ধরে মোট ৮ হাজার কেজি আদা পাওয়ার লক্ষ্য ছিল তাঁর। কিছু গাছ মরে যাওয়ায় এখন ৬ হাজার ৫০০ গ্রাম থেকে ৭ হাজার কেজি আদা পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন। হঠাৎ আদা চাষে উদ্বুদ্ধ হওয়ার বিষয়ে আল মাসুদ বলেন, প্রতি বছর দেশে ভারত ও চীন থেকে আড়াই টন করে আদা আমদানি করতে হয়। পতিত জমিতে দেশে আদা চাষ করলে আদা আমদানি করতে হবে না। তাই তিনি আদা চাষে ঝুঁকেছেন। এর মাধ্যমে আরও অনেকে যেন এগিয়ে আসেন সে উৎসাহ দিচ্ছেন। এভাবে আদা চাষ করে একজন স্বাবলম্বী হতে পারবেন। দেশের বিভিন্ন এলাকায় অনেক পতিত জমি ও বিভিন্ন বাগান রয়েছে। এসব বাগানে, যেখানে পানি জমে না সেখানে আদা আবাদ করা যায়। আদা গাছ হওয়ার পর প্রতি ১৫ দিন পর পর ছত্রাক ও কীটনাশক স্প্রে করলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে। তিনি আরও জানান, বর্ষায় আদা চাষ করলে অনেক ক্ষতি হয়। যে কারণে কৃষক আদা চাষ করতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন না। কিন্তু বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষ সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত। কারণ অতিবৃষ্টি, খরাসহ যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ শুরু হলে বস্তা দ্রুত অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া যায়। ফলে আদা গাছ সুরক্ষিত থাকে। উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষে আলাদা জমির প্রয়োজন হয় না। গাছের নিচে বস্তা কিংবা নেট পদ্ধতিতে চাষ করা যায়। এ বছর একজন কৃষি উদ্যোক্তা পরীক্ষামূলক আদা চাষ করছেন। প্রতিনিয়ত তাঁর আদাবাগানে গিয়ে পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এ চাষ পদ্ধতি সহজ হওয়ায় আগামীতে এ উপজেলায় আদা চাষে অন্য কৃষি উদ্যোক্তারা আগ্রহী হয়ে উঠবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
শিরোনাম
- ভিন্নমত পোষণের প্রস্তাব বাদ দিলে নির্বাচিত সরকার অকার্যকর হয়ে পড়বে
- রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ৬
- বালিয়াকান্দি থানার সাবেক ওসিকে গ্রেফতারের দাবিতে স্মারকলিপি
- রাতভর রুশ হামলায় ইউক্রেনে বিদ্যুৎবিহীন ৬০ হাজার মানুষ
- ইবতেদায়ি শিক্ষকদের যমুনা অভিমুখী লংমার্চে পুলিশের বাধা
- এভারেস্টে টানা তুষারপাত, আটকা পড়েছেন শতাধিক পর্যটক
- দেশে একটা নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রক্রিয়া চলছে : মির্জা ফখরুল
- আবারও জামায়াতের আমির নির্বাচিত ডা. শফিকুর রহমান
- বৃষ্টিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত
- জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্যাম্পেইন শুরু
- বগুড়ায় সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করবে সাইক ও বিপিসি
- জ্বালানি ও জনবল সংকটে বন্ধ কুতুবদিয়ার ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স
- নভেম্বরের মধ্যেই সব নতুন বই পেয়ে যাবো: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
- নাসার তৈরি সুপারসনিক বিমানের সফল উড্ডয়ন
- মেট্রোরেল চলাচল শুরু
- সরকারের মধ্যে সব সময় একটা ‘শেকি’ ব্যাপার দেখা যায় : সারোয়ার তুষার
- মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ ঢাকার
- প্রথমবার মার্কিন রাজধানী সফরে যাচ্ছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট
- তত্ত্বাবধায়ক বাতিলের রায় দিয়েই রাজনৈতিক সংকটের শুরু : আপিল বিভাগকে বিএনপি
- জেনেভা ক্যাম্পে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে যৌথ পরিদর্শন
অষ্টম কলাম
বস্তায় আদা চাষে সাফল্যের আশা
সাইদ মেমন, বরিশাল
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর