জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বিকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ডাক দেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ১৯৭১ সালে আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করেছেন একটি গণতান্ত্রিক দেশের জন্য। বেগম খালেদা জিয়া ৯টি বছর গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে এরশাদকে পরাজিত করেছেন। তারেক রহমান কাজ করছেন একটি আধুনিক সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিক্রি করে কিছু চাই না। আমাদের সবার প্রত্যাশা সুন্দর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। যেখানে মানুষ মানুষকে ভালোবাসবে। এজন্য জাতীয় ঐক্য চাই। আবারও আমরা জাতীয় ঐক্যের ডাক দিচ্ছি।
ফখরুল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আজকে তারুণ্যের সমাবেশ হচ্ছে। এ সমাবেশের একটাই উদ্দেশ্য, সেটা হচ্ছে তরুণদের সজাগ করা। তরুণরা আবার জেগে উঠো সব চক্রান্ত ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য। যারা চক্রান্ত করছেন দেশের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে তারা আজকের এ সমাবেশে এলে, দেখলে সেই চক্রান্ত বন্ধ করবে। আমাদের আজকের তরুণরা প্রতিবাদ করতে শিখেছে।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কারও যদি দর্শন থাকে। ভাবনা থাকে। কর্মসূচি থাকে তাহলে তাদের জনগণের কাছে যেতে হবে। কিন্তু কারও স্বার্থের জন্য দেশকে জিম্মি করা যাবে না। মানুষের মধ্যে নতুন যে ভাবনা এসেছে তা বুঝতে হবে। তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান। সমাবেশে উপস্থিতির মাধ্যমে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার ইঙ্গিত দিলেও তামিম বক্তব্যে নিজেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয় বরং ‘স্পোর্টসম্যান’ হিসেবে তুলে ধরেন।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন-চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, সহসাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল, তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহদি আমিন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী, আন্তর্জাতিক উপকমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু চৌধুরী। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না।
বক্তব্য দেন-যুবদল সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, যুবদলের সহসভাপতি রেজাউল করিম পল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহসভাপতি ইয়াছিন আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান ও ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, সদস্যসচিব নাজিমুর রহমান নাজিম প্রমুখ।
এর আগে শনিবার দুপুরে সমাবেশ শুরুর আগেই নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে লোকারণ্য হয়ে উঠে। সমাবেশস্থল ছাড়িয়ে নগরীর টাইগারপাস, দেওয়ানহাট, নিউমার্কেট, কাজীরদেউরী এলাকায় নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। এতে করে আশপাশের বিভিন্ন সড়ক-উপসড়কেও দেখা দেয় যানজট। যানজটের কবল থেকে বাদ পড়েনি ফ্লাইওভারগুলোও।