কয়েক দিন ধরে রাজধানীতে বিভিন্ন দাবিতে একাধিক পক্ষের লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি চলছে। রাস্তা বন্ধ করে এ আন্দোলনে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে রাজধানীবাসী। ঢাকার রাজপথ যেন দাবি আদায়ের জনপদে পরিণত হয়েছে। এ কারণে একপ্রকার স্থবির হয়ে পড়েছে ঢাকার যান চলাচলসহ জনসাধারণের স্বাভাবিক চলাচল। দিনে রাতে সব সময় দাবি আদায়ের মিছিলে সরব ঢাকার রাজপথ। যার তীর্থভূমিতে পরিণত হয়েছে শাহবাগ। তবে এখন মহাখালী, গুলশান, শ্যামলী, মিরপুর, আগারগাঁও, বাড্ডা, রামপুরা, গুলিস্তানসহ সব জায়গায় আন্দোলন চলছে। যাতে চরমভাবে ভেঙে পড়েছে যোগাযোগব্যবস্থা। পেশাজীবী ও সুশীল সমাজ বলছে, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই রাজপথে আন্দোলন হচ্ছে। ঘটছে সড়ক অবরোধ, ভাঙচুর, সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনা। যার প্রভাবে ভোগান্তিতে এরই মধ্যে বিপর্যস্ত বিরক্ত, ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে ঢাকাবাসী। বিশেষ করে ঘন ঘন অবরোধ, বিক্ষোভ, সংঘর্ষের কারণে গুরুত্বপূর্ণ সব রাস্তা বন্ধ হয়ে পড়ায় তীব্র যানজটে জনভোগান্তি বাড়ছে। শাহবাগ ও কাকরাইল এলাকা অবরুদ্ধ করে রাখার কারণে সাধারণ নাগরিকদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এমনকি হাসপাতালেও যেতে পারছেন না অনেকে। চলতি সপ্তাহের তিন গ্রুপের আন্দোলনে পুরো রাজধানীতে চরম যানজটের সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হয়। তারা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যমুনার গেট অবরোধ করেন। একসময় শাহবাগে অবরোধ শুরু করেন নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে ওই এলাকা একেবারে বন্ধ হয় যায়। ওইদিন দুই পক্ষকে পুলিশ লাঠিপেটা করে উঠিয়ে দেয়। তবে রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কাকরাইলে এসে রাস্তা বন্ধ করে তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। এ কর্মসূচি গতকাল দিনভর চলমান ছিল। একই সময় বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে নগর ভবনের প্রধান ফটকসহ বিভিন্ন গেট অবরুদ্ধ রেখে বিক্ষোভ করেন তার সমর্থকরা। এতে সকাল থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নগর ভবনে ঢুকতে পারেননি। এ ছাড়া বিভিন্ন সেবা নিতে আসা নাগরিকরাও ভোগান্তিতে পড়েন।
বুধবার ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে নগর ভবন প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করে কয়েক শ মানুষ।