সবুজ চা বাগানের মাঝখান দিয়ে চলেছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়ক। সড়কের দুই পাশ যেন এক ফুলেল স্বপ্নপুরী। কৃষ্ণচূড়ার আগুনরাঙা রং, জারুলের নীল-বেগুনি ছায়া আর সোনালুর ঝুলন্ত হলুদ আভা মিলেমিশে তৈরি করেছে অপূর্ব মেলবন্ধন। ফুলে ফুলে সেজে ওঠা প্রকৃতির এই সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন স্থানীয় লোকজন ও দর্শনার্থীরা। সরেজমিন দেখা যায়, সারি সারি গাছ লাল, হলুদ, সোনালি ফুলে মেলে ধরেছে তাদের সৌন্দর্য। পথচারী, পর্যটক, দর্শনার্থী ও প্রকৃতিপ্রেমীরা এ দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন। কেউ ছবি তুলছেন। কেউ দাঁড়িয়ে রঙিন প্রকৃতির স্বাদ নিচ্ছেন। কেউবা হেঁটে হেঁটে দেখছেন সড়কের দুই পাশের সৌন্দর্য। তরুণ-তরুণীরা তৈরি করছেন রিলস, টিকটিক। এদিকে এই সড়কেই চলছে ছোট বড় গাড়ি। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন অনেকে। জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে ফিনলে টির ভাড়াউড়া ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক গোলাম মোহাম্মদ শিবলী এই সড়কের বধ্যভূমি-৭১ থেকে চা গবেষণা ইনস্টিটিউট পয়েন্ট পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে নানান ফুলের গাছ লাগান।
গাছগুলোতে গত দুই বছর ধরে ফুল ধরতে শুরু করেছে। ঢাকা থেকে আসা পর্যটক মোশাররফ হোসেন বলেন, সড়কের দুই পাশে ফুটে থাকা ফুল এখানকার সবুজ প্রকৃতি আরও রঙিন করে তুলেছে। শ্রীমঙ্গল ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রাসেল আলম বলেন, সড়কের এই ফুল গাছগুলো শ্রীমঙ্গলে পর্যটনে নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে। হদয় শুভ নামে স্থানীয় যুবক বলেন, যারা এই সড়কে ভিডিও তৈরি করেন তাদের সতর্ক থাকতে হবে। সাবধান না হলে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। গোলাম মোহাম্মদ শিবলী বলেন, নিজের দায়বদ্ধতা থেকেই গাছগুলো লাগিয়েছিলাম। এখন গাছে ফুল এসেছে দেখে খুশি লাগছে। সবার কাছেই এই জায়গা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এটা আমার কাজের সার্থকতা বলে মনে করি।