যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়াকে অর্থ পাচারের মামলায় চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার ৮ নম্বর বিশেষ জজ মঞ্জুরুল হোসেন এ দণ্ড দেন। এ ছাড়া পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী, পাপিয়ার সহযোগী সাব্বির খন্দকার, শেখ তায়িবা নূর ও জুবায়ের আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছেন আদালত।
অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে গতকাল পাপিয়ার আইনজীবী সময় চেয়ে আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে পাপিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানকে ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, ২ লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ১১ হাজার ৪৮১ ডলার, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের কিছু মুদ্রা এবং দুটি ডেবিট কার্ড জব্দ করা হয়। পরে পাপিয়ার ফার্মগেইটের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড উদ্ধারের কথা জানায় র্যাব। অভিযান চালানো হয় পাপিয়ার নরসিংদীর বাড়িতেও। গ্রেপ্তারের পর পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা করে র্যাব। বিমানবন্দর থানায়ও তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪ এর অধীনে একটি মামলা হয়। আর গুলশান থানায় মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনে সিআইডি আরেকটি মামলা করে। পরে দুদক পাপিয়ার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে। ২০২২ সালের ২১ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করে আদালত। মামলার বিচার চলাকালে ২৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর পাপিয়া ও তার স্বামী সুমনকে শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র আইনের মামলায় ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন অন্য একটি আদালত। পরে উচ্চ আদালত থেকে পাপিয়া জামিনে কারামুক্ত হন।