মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে ১৪২ জন বাংলাদেশিসহ ১৪৩৫ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির জেনারেল অপারেশন ফোর্স (জিওপি)। তাদের বেশির ভাগ পুসাত বন্দর উতারা এলাকার জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার রোহিঙ্গা কার্ডধারী বলে জানা গেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে সাঁড়াশি অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
জানা যায়, মালয়েশিয়ার পুসাত বন্দর উতারা এলাকায় রাতভর সাঁড়াশি অভিযান চালায় জিওপি। তখন কুয়ালালামপুরের পাইকারি বাজারের ব্যবসায়িক কেন্দ্রসহ সব দোকানে প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। অভিযানে ১২২২ জন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা, ১৪২ জন বাংলাদেশি, ৯ জন ভারতীয়, চারজন ইন্দোনেশিয়ান ও একজন নেপালের নাগরিককে আটক করা হয়। তবে বৈধ নথিপত্র এবং শরণার্থী কার্ডধারীদের যাচাইবাছাই শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকিদের পুত্রজায়ার ইমিগ্রেশন ডিপোতে পাঠানো হয়েছে। বুকিত আমান অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা বিভাগের (পিজিএ) উপপরিচালক দাতুক মোহাম্মদ সুজরিন মোহাম্মদ রোধি বলেন, ‘মিয়ানমারের শরণার্থীদের অবৈধ প্রবেশ রোধে এ অভিযান চালানো হয়েছে। অভিবাসন আইন লঙ্ঘনকারী অপরাধীদের শনাক্ত করাই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য। আটকদের বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশন আইন এবং রেগুলেশনের অধীনে তদন্তপূর্বক অভিযোগ গঠন করা হচ্ছে।’
পশ্চিমবঙ্গে ২৮ ‘বাংলাদেশি’ আটক
অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ ও বসবাসের অভিযোগে ২৮ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ। তারা সবাই বাংলাদেশি বলে জানিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার রাতে কোচবিহার জেলার দিনহাটা রেলস্টেশন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। জানা গেছে, ভারতে অনুপ্রবেশ করে ১৫-১৬ বছর ধরে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতেন তারা। ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ধরপাকড় শুরু হওয়ার পর বৃহস্পতিবার তারা দেশে ফেরত যাচ্ছিলেন। ইতস্ততভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে দিনহাটা থানার পুলিশ তাদের আটক করে। তাদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ৮ জন নারী এবং ৯ শিশু রয়েছে। কোচবিহার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষ্ণ গোপাল মিনা বলেন, ‘তারা হরিয়ানাতে কাজ করতেন। বিহার ও শিলিগুড়ি হয়ে কোচবিহারে এসেছিলেন তারা। অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।