বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংক্রমণ শুরুর পরই ২০২০ সালের মার্চে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালকে ‘ডেডিকেটেড’ সেবা কেন্দ্র ঘোষণা করে সরকার। এরপর এপ্রিলেই স্থাপন করা হয় ১০টি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) শয্যা। ক্রমান্বয়ে যুক্ত করা হয় এইচডিইউ, সেন্ট্রাল অক্সিজেনসহ প্রয়োজনীয় সেবা। কিন্তু পরবর্তীতে যন্ত্রপাতিগুলো অচল হতে শুরু করে। এরই মধ্যে আবারও দেখা দিয়েছে করোনা সংক্রমণ। ফলে আইসিইউসহ জরুরি সেবার প্রয়োজনীয়তা আবারও সামনে এসেছে। সঙ্গে সংকট রয়েছে দক্ষ জনবলের।
জানা যায়, ২০২০ সালে দুই দফায় ১৮ আইসিইউ শয্যাসহ মোট ২২টি ভেন্টিলেটর যুক্ত করা হয়েছিল। ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল এইচডিইউ শয্যার। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সেগুলো অচল হতে শুরু করে। বর্তমানে ৩৯টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার মধ্যে সচল আছে মাত্র পাঁচটি। তবে এগুলো এখন সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত তিন দিন ধরে দুটি বিশেষজ্ঞ টিম মেশিনগুলো সচল করার কাজ করছেন। আজ কাজ শেষ হওয়ার কথা। পক্ষান্তরে, ২০২০ সালে করোনা ইউনিটের জন্য সংযুক্তিতে দেওয়া ২২ জন চিকিৎসককে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি একসঙ্গে বদলি করা হলে তৈরি হয় জনবল সংকট।
জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের ইনচার্জ ডা. রাজদ্বীপ বিশ্বাস বলেন, বর্তমানে পাঁচটি আইসিইউ শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে। জরুরি রোগীদের এখানে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। তবে আইসিইউ শয্যা পরিচালনায় দক্ষ চিকিৎসক ও জনবল দরকার।
জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আকরাম হোসেন বলেন, আপাতত পাঁচটি শয্যা প্রস্তুত রয়েছে। তাছাড়া, চট্টগ্রাম মেডিকেলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইসিইউ রয়েছে। রোগী বাড়লে সেখানে রেফার্ড করা হবে। আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। একই সঙ্গে জনবল নিয়োগের ব্যাপারেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
নতুন শনাক্ত ১০ : চট্টগ্রামে সোমবার সকাল থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় এ তথ্য জানায়। এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ জন। এর আগে গত রবিবার করোনা আক্রান্ত হয়ে এক রোগীর মৃত্যু হয়।
এদিকে দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র শেরেবাংলা মেডিকেলের করোনা ওয়ার্ড ও পরীক্ষার ল্যাব প্রস্তুত করা হয়েছে। কিন্তু কিটের অভাবে পরীক্ষা শুরু হয়নি। হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, ৩০ শয্যার আধুনিক ওয়ার্ড এবং আরটিপিসিআর ল্যাব প্রস্তুত করা হয়েছে। কিট এলেই পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু হবে।