মালয়েশিয়ায় জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক চারজনের রাজধানীর বিমানবন্দর থানার মামলায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তারা হলেন নজরুল ইসলাম সোহাগ, মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, জাহেদ আহমেদ ও মো. মাহফুজ।
গতকাল কারাগারে আটক থাকা চারজনকে আদালতে হাজির করে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো ও মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রত্যেককে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক কে এম তারিকুল ইসলাম।
আসামিপক্ষের আইনজীবী এমদাদুল হক বিজয় তাদের রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. মিনহাজুর রহমান তাদের জামিন নামঞ্জুর করে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে ৫ জুলাই জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় আটক ৩৫ প্রবাসীর বিরুদ্ধে মামলা করেন ঢাকার বিমানবন্দর থানার অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক মো. আবদুল বাতেন।
মামলার আসামিরা হলেন নজরুল ইসলাম সোহাগ, মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, জাহেদ আহমেদ, পারভেজ মাহমুদ পাবেল, শরীফ উদ্দিন, রহমান মোহাম্মদ হাবিবুর, সালেহ আহমেদ, মো. আবদুস সহিদ মিয়া, মো. মতিন, ফয়সাল আলম, রায়হান আহমেদ, মো. রাজ, মো. মনসুরুল হক, ইমন মহিদুজ্জামান, আকরাম মো. ওয়াসিম, শেখ সালাম, মোহাম্মদ রাজ মাহমুদ ম ল, আশরাফুল ইসলাম, মোহাম্মদ ফয়সাল উদ্দিন, মাহফুজ, রবিউল হাসান, মোহাম্মদ সোহেল রানা, মো. আফসার ভূইয়া, হোসাইন সাহেদ, মো. আশিকুর বিশ্বাস, মো. শাওন শেখ, ইয়াসিন আলী, মোহাম্মদ পারভেজ মোশারফ, মহিউদ্দিন, সাব্বির হোসাইন, আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. শাকিল মিয়া, আসাদুজ্জামান হোসাইন এবং মো. সোহাগ রানা। তাদের পর্যায়ক্রমে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে মালয়েশিয়া।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠনের আদর্শে অনুপ্রাণিত হন। তারা মলয়েশিয়ায় অবস্থান করা সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। তারা মালয়েশিয়ার আইপি ঠিকানা ব্যবহার করে বাংলাদেশি কতিপয় নাগরিকের পরিচালিত সমাজমাধ্যমে সদস্য সংগ্রহ এবং প্রচার চালিয়ে আসছিলেন। আসামিরা মালয়েশিয়ায় অবস্থান করে সে দেশের জননিরাপত্তা, জনসাধারণের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ২৮ এপ্রিল থেকে ২১ জুন পর্যন্ত মালয়েশিয়া পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। আসামিরা সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য হয়ে আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী স্বেচ্ছায় দেওয়া অনুদানের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েছেন।