আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিলের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মাদ ফেরদাউস বলেছেন, চলতি বছরে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় যারা অবতীর্ণ হয়েছিল তারা শিক্ষাজীবনে করোনার আঘাতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। দীর্ঘ সময় তারা শ্রেণিকক্ষের বাইরে ছিল। এক ক্লাস থেকে অন্য ক্লাসে উত্তীর্ণের ক্ষেত্রে তাদের পরীক্ষা নেওয়া হয়নি ওই সময়। ক্লাস নিতে হয়েছে অনলাইনে। সবমিলে তাদের শিক্ষাজীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তাদের মধ্যে বড় শিখন শূন্যতা তৈরি হয়েছে তখন। মৌলিক অনেক একাডেমিক বিষয় হয়তো অজানাই থেকে গেছে তাদের মধ্যে। তা ছাড়া এবারের এসএসসিতে পরীক্ষার খাতা যথাযথভাবে মূল্যায়ন হয়েছে। কাউকে বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়নি। সবমিলেই ফলাফলে পাসের হার কিছুটা কমে গেছে।
এ অধ্যক্ষ বলেন, পরীক্ষার ফলাফল অস্বাভাবিক হয়েছে বলে মনে করি না। কারণ, ভালোমন্দ বাছাই করার জন্যই পরীক্ষা নেওয়া হয়। এই শিক্ষার্থীরা নতুন কারিকুলামে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। এতেও পাসের হারে কিছুটা কমে গেছে হয়তো। ফল প্রকাশের পর আমরা দেখেছি অনেকে ৭৯ পেলেও তাকে বাড়তি নম্বর দিয়ে ৮০ করে দেওয়া হয়নি। পাসের ক্ষেত্রেও এমনটা হয়েছে। কাউকে দয়া করে কোনো নম্বর দেওয়া হয়নি। খাতার মূল্যায়নও হয়েছে যথাযথ।
তিনি বলেন, এই ছাত্ররা জুলাই-বিপ্লবে বড় ভূমিকা রেখেছে। বিপ্লবের পরেও ছাত্ররা নানা সামাজিক কার্যক্রমে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছে। বন্যাপীড়িতদের পাশে দাঁড়ানো, ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও অনেক কাজ করছে ছাত্ররা। এর ফলে তাদের একাডেমিক কার্যক্রমে হয়তো কিছুটা বিঘ্নতা ঘটেছে। আর করোনার পর থেকে এখন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের শ্রেণিমুখী করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে গেছে। অনেকে এখনো মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইসে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এজন্য অভিভাবকরাও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
মোহাম্মাদ ফেরদাউস বলেন, আমি প্রত্যাশা করি শিক্ষার্থীরা শ্রেণিমুখী হবে। তারা ভবিষ্যতে একাডেমিক কার্যক্রমে আরও মনোযোগী হবে।