গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকায় গতকাল সকালে আরএকে সিরামিক কারখানার শ্রমিকরা দুই ঘণ্টা ধরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় যানবাহনে আটকে পড়া ঢাকা ও ময়মনসিংহমুখী যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। পরে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পুলিশ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে দুই ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। গতকাল শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুর (ধনুয়া) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এরআগে সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক সড়ক অবরোধ করে রাখেন। জানা যায়, কোম্পানিতে কর্মরত উচ্চপদস্থ ভারতীয়দের অপসারণ, আগস্ট মাসের ১ তারিখে বেতনের সঙ্গে চলতি বছরের ইনক্রিমেন্টের সাত মাসের এরিয়ার প্রদান, প্রতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বর্তমান প্রেক্ষাপট অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধি, আন্দোলনরত অবস্থায় কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলেও হাজিরা প্রদানসহ ১০ দফা দাবিতে আরএকে সিরামিক কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচিতে যান। এদিকে রাস্তা অবরোধের খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ, শিল্প পুলিশ ও মাওনা হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রথমে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করলে দুই ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। এ বিষয়ে আরএকে সিরামিক কারখানার মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের (এইচআর অ্যান্ড অ্যাডমিন) কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, তাদের দাবির বিষয়ে কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তারা কর্তৃপক্ষকে সময় না দিয়ে কিছু উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিকের উসকানিতে মহাসড়কে গিয়ে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে।
শ্রমিকদের দাবিগুলো যাচাইবাছাই করে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হবে। তাদের অনেক দাবি যুক্তিসঙ্গত না হওয়ায় কর্তৃপক্ষ অযৌক্তিক দাবি মেনে নিতে পারছে না।