রাজশাহীতে ঋণের ফাঁদে পড়ে সাধারণ মানুষের জীবনে নেমে এসেছে অন্ধকার। এনজিও ও ব্যক্তিগত পর্যায়ের ঋণ শোধ করতে না পেরে গত দুই মাসেই তিনজন আত্মহত্যা করেছেন এবং তিনজন খুন হয়েছেন। ঋণের দায়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে একাধিক পরিবার।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, কর্মসংস্থানের অভাব ও অযাচিত ঋণগ্রহণ মানুষকে বিপর্যস্ত করে তুলছে। কিস্তির চাপ ও সুদের বোঝা সামাল দিতে না পেরে অনেকেই বেছে নিচ্ছেন আত্মহত্যার মতো চরম পথ। ১৫ আগস্ট রাজশাহীর পবা উপজেলার বামনশিকড় গ্রামে মিনারুল ইসলাম (৩৫) তার স্ত্রী মনিরা বেগম (২৮), ছেলে মাহিন (১৩) ও মেয়ে মিথিলা (২)-কে নিয়ে আত্মহত্যা করেন। চিরকুটে লেখা ছিল-‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে।’ মিনারুল কৃষিকাজ করতেন এবং বিভিন্ন ঋণের চাপে ছিলেন। এর আগে ১৬ জুলাই সিএনজি চালক শামসুদ্দিন (৩২) ঋণের দায়ে আত্মহত্যা করেন। গতকাল একই কারণে মোহনপুর উপজেলার কৃষক আকবর হোসেন (৫০) গলায় ফাঁস দেন। এ ছাড়া ব্যবসার ঋণ শোধ করতে না পেরে দুর্গাপুরের নেকসার আলী ও চারঘাটের সেলিম হোসেন পরিবারসহ গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ বলেন, অনেক সংস্থা যাচাইবাছাই না করে ঋণ দিচ্ছে। আবার ঋণগ্রহীতারা প্রকৃত কাজে তা ব্যয় না করে অন্য খাতে ব্যবহার করছেন। ফলে সময়মতো ঋণ শোধ করতে না পেরে ভয়ংকর পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।