ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়-সংলগ্ন সভাকক্ষে উপাচার্য ও ডাকসুর সভাপতি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আর্টিক্যাল ২০ (১) (এম) অনুযায়ী সিনেটে ডাকসুর পাঁচজন ছাত্র প্রতিনিধি মনোনয়নের জন্য আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পেশ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মনোনীতরা হলেন ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম, জিএস এস এম ফরহাদ, এজিএস মহিউদ্দীন খান এবং সদস্যদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া সাবিকুন্নাহার তামান্না ও পরিবহন সম্পাদক আসিফ আবদুল্লাহ। এ ছাড়া ডাকসুর কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের বিষয়েও সভায় আলোচনা করা হয়। সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে সংবাদ সম্মেলন করেন ডাকসু নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা। সংবাদ সম্মেলনে জিএস এস এম ফরহাদ বলেন, ‘আজকে প্রথম ওয়ার্কিং ডে। প্রথম দিনেই গঠনতান্ত্রিক নিয়ম অনুযায়ী পারস্পরিক পরিচিত সভা এবং কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রতিনিধি হিসেবে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে যেই মতেরই থাকুক না কেন, আমরা সবার প্রতিনিধি হয়ে কাজ করতে চাই। শিক্ষার্থীদের কথাগুলো বলতে চাই। সেই জায়গাগুলোতে আমরা একমত হয়েছি।’ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্য থেকে পাঁচজনকে সিনেটে পাঠানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে সিনেটে পাঁচ প্রতিনিধি পাঠানো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এখানে টপ থ্রি থাকছেন ভিপি, জিএস ও এজিএস। তাহলে সিলেকশন করার দুটো মাত্র অপশন থাকে। সেখানে আমরা আজকে একমত হয়েছি, যেহেতু সেক্রেটারিয়েট বডি আছে অর্ধেক। বাকিটা জেনারেল মেম্বার। তাহলে আমরা জেনারেল মেম্বার থেকে একজন নেব, সেক্রেটারিয়েট বডি থেকে একজন নেব। তাই যিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন তাকে আমরা প্রতিনিধি হিসেবে সিন্ডিকেটে পাঠাচ্ছি। তাছাড়া সভার সিদ্ধান্ত গেজেট আকারে শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।’ ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, ‘যারা নির্বাচিত হয়েছি, আমরা সবাই শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি। শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব হলো আমাদের প্রশ্ন করা, আর আমাদের কাজ হলো দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন করা। আমরা অঙ্গীকার করেছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর যে কোনো সমস্যা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারবেন। প্রতিটি সমস্যার মুখোমুখি হতে আমরা প্রস্তুত।’