অগ্রণী ব্যাংকের চট্টগ্রামের আছাদগঞ্জ শাখা থেকে নিয়ম ভেঙে ঋণ নেওয়ার মাধ্যমে ১৮৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা আত্মসাৎ হয়েছে। এ অভিযোগে ব্যাংকটির সাবেক এমডি সৈয়দ আবদুল হামিদ, নুরজাহান গ্রুপের পরিচালকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল বেলা সাড়ে ৩টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব জানান দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। আসামিরা হলেন অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও সৈয়দ আবদুল হামিদ, ব্যাংকটির আছাদগঞ্জ শাখার সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার মোস্তাক আহমেদ, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক আবুল হোসেন তালুকদার, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (ঢাকা সার্কেল-২) ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ, সাবেক মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শামস উল ইসলাম, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক তাজরীনা ফেরদৌসী ও সাবেক মহাব্যবস্থাপক মোফাজ্জল হোসেন।
এ ছাড়া মেসার্স মিজান ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান, জাসমীর ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেডের এমডি জহির আহমেদ, ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক টিপু সুলতান ও ফরহাদ মনোয়ারকেও আসামি করা হয়েছে।
দুদক জানায়, মেসার্স মিজান ট্রেডার্সের নামে ছোলা ও গম আমদানির জন্য ঋণ মঞ্জুর করা হলেও প্রকৃত সুবিধাভোগী ছিল নুরজাহান গ্রুপ ও তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জাসমীর ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেড। বেতনভোগী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে ঋণ অনুমোদন ও উত্তোলন করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নুরজাহান গ্রুপের একটি বেনামি প্রতিষ্ঠানের নামে শাখায় হিসাব খোলা থেকে শুরু করে হিসাব পরিচালনার জন্য নুরজাহান গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জাসমীর ভেজিটেবল অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহমেদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। নতুন এ প্রতিষ্ঠানকে বিপুল অঙ্কের ঋণ মঞ্জুরি এবং পরবর্তী সময়ে ঋণ মঞ্জুরিপত্রের শর্তাবলি যথাযথভাবে পরিপালন নিশ্চিত না করে সুপরিকল্পিতভাবে ব্যাংকের ৫১ কোটি টাকা (বর্তমানে সুদাসলে ১৮৯.৮০ কোটি) পরস্পর যোগসাজশে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়েছে।