দুঘর্টনার হাত হাত থেকে কেউই সম্পূর্ণ নিরাপদ না। তবে, দুঘর্টনার কবলে পড়লে প্রাণে বাঁচতে সাধ্যের মধ্যে কিছু উপায় জানা থাকলে বাঁচাতে পারে নিজের ও এবং অন্যের জীবন।
বলা যেতে পারে লিফট দুর্ঘটনার কথা। লিফট ছিঁড়ে নিচে পড়ে যাওয়ার মতো ভয়ংকর দূর্ঘটনা খুব বেশি ঘটে না, তবে একেবারেই যে ঘটে না বা ঘটবে না তা কিন্তু নয়। তাই জেনে রাখা ভালো যে, লিফট ছিঁড়ে নিচে পড়ে যেতে থাকলে কিভাবে বাঁচাবেন নিজেকে।
লাফ দেবেন না :
প্রথমত আপনি যখন ফ্রিস্টাইলে নিচে পড়ে যেতে থাকবেন, তখন লাফ দেওয়ার চেষ্টা করাটা খুবই কঠিন। দ্বিতীয়ত লাফালাফি করলে লিফট আরো বেশি গতিতে আছড়ে পড়বে। তৃতীয়ত আপনার শরীরের কোন অংশ পতিত হবে তা এর মাধ্যমে আগেভাগে নির্ধারণ করা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না। বরঞ্চ লাফের কারণে আপনি মাথায় আঘাত পেতে পারেন এবং খুবই খারাপভাবে আপনার শরীর আছড়ে পড়তে পারে।
সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবেন না :
সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকাটা খুব ভালো ধারণা নয়। কারণ পতনের সময় শরীরের ওজনের ১০ গুণ ওজন এসে ভর করে পায়ে। যা খুবই গুরুতর জখম হওয়ার কারণ হতে পারে।
সবচেয়ে নিরাপদ কৌশল :
মাস্যাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং সেন্টারের গবেষণা ইঞ্জিনিয়ার ইলিয়ট এইচ ফ্রাঙ্কের মতে, লিফট যখন পড়ে যেতে থাকবে তখন যত দ্রুত সম্ভব চিৎ হয়ে দুই হাত ও পা ছড়িয়ে লিফটের মেঝেতে শুয়ে পড়া একমাত্র নিরাপদ কৌশল। এতে আপনার শরীরের সেরা অংশগুলোতে শক্তি ছড়িয়ে পড়বে। এবং এর ফলে শরীরের কোনো নির্দিষ্ট অংশ অন্য কোনো অংশের তুলনায় বেশি ওজন বিরাজ করবে না। নিচে পড়ার আঘাত শরীরের সব অংশে সমানভাবে ছড়ে যাবে বলে ভারসাম্য রক্ষা করে শরীরের নির্দিষ্ট কোনো অংশে কম আঘাত ঘটাতে পারে। তবে সত্যিকার অর্থে এটা বাঁচার একটা চেষ্টা করা মাত্র, জখম তো হতেই হবে, তবে গুরুত্বর জখম থেকে রক্ষা পাওয়ার সেরা একটা চেষ্টা হচ্ছে এই কৌশল অবলম্বন করা।
লিফটে বেশি মানুষ থাকলে :
এ পরিস্থিতি সবচেয়ে ভালো যেটা করতে পারেন তা হচ্ছে, লিফটের মেঝেতে বসে পড়া। আপনি দাঁড়িয়ে থাকলে অস্থিতে যে পরিমান চাপ পড়তো তার তুলনায় অস্থিতে কম চাপ পড়বে এ পজিশনে। যদি বসে পড়ার মতো জায়গা না থাকে, তাহলে অন্তত চেষ্ঠা করুন হাঁটু বাঁকা করে রাখতে, এটিও পায়ের বল কমাতে কিছুটা সাহায্য করবে।