বিষণ্ণতা নিয়ে অনেকেই খুব বিষণ্ণ হয়ে থাকলেও এটা খুব মারাত্মক কিছু নয়। এটা অতি সাধারণ একটা অসুস্থতা এবং প্রতিটা মানুষেরই বিষণ্ণতা হতে পারে। কিন্তু এটা খুব সহজেই নিরাময় করা সম্ভব। তো চলুন দেখে নেয়া যাক বিষণ্ণতা চিরতরে দূর করার ১০ মন্ত্র।
১. পর্যাপ্ত ঘুম : বিষণ্ণতার প্রথম এবং প্রধান কারণ হল ঘুমের অভাব। ঘুমের ব্যঘাত শুধু আমাদের শারীরিকভাবেই ক্ষতি করে না, এটা তৈরি করে মানসিক অবসাদ এবং বিষণ্ণতা। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ঘুমালে বিষণ্ণতা দূর করা অনেকটা সহজ হয়ে যায়।
২. সঠিক খাদ্যভ্যাস : সঠিকভাবে খাদ্যগ্রহণ এই রোগ অনেকটা কমিয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, উপযুক্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবারের অভাবে বিষণ্ণতা দেখা দিতে পারে, আর তাই তারা ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার খেতে বলেন বেশি করে।
৩. হাসি : এটা আমার মতে বিষণ্ণতা দূর করার অন্যতম উপায়। হাসিখুশি থাকুন, যত কষ্টই হোক। মানুষের জীবনে কষ্ট থাকবেই, এমন কাউকে পাবেন না, যার জীবনে কষ্ট নেই। কাজেই হাসুন, বিষণ্ণতাকে দূর করুন।
৪. কৃতজ্ঞতা প্রকাশে দূর হয় বিষণ্ণতা : গবেষণায় দেখা যায় যে, কৃতজ্ঞতা প্রকাশে বিষণ্ণতা কমে। তাই কেউ আপনাকে সহযোগিতা করলে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।
৫. অগোছালো পরিবেশ পরিহার করুন : যারা অগোছালো, তাদের এই বিষণ্ণতা বেশি হয়, সেটা হতে পারে কর্মক্ষেত্রে, হতে পারে নিজের বাসায়। তাই সব কিছু সাজানো- গোছানো রাখতে চেষ্টা করুন।
৬. ইতিবাচক চিন্তা করুন : সব সময় ইতিবাচক চিন্তা করবেন, কখনও নেতিবাচক কিছুকে কাছে আসতে দিবেন না।
৭. ধ্যান করুন : নিয়ম করে ধ্যান করলে বিষণ্ণতা কমে যায়। গবেষকরা বলেছেন যে, ধ্যান মস্তিস্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়, চিন্তা দূর করে।
৮. দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা করুন : আপনার ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিকল্পনা করুন, এবং সেটা দীর্ঘমেয়াদী হতে হবে। আজ থেকে ৫ বছর পড়ে নিজেকে কোথায় দেখতে চান, এবং সেই লক্ষ্যতে পৌঁছতে হলে কি করা উচিৎ, সেগুলা নিয়ে ভাবুন। পরিকল্পনামত এগুলে বিষণ্ণতা গ্রাস করবে না।
৯. খেলাধুলা করুন : কাজের ফাঁকে কিছু সময় বাচ্চাদের সাথে খেলতে পারেন, কিংবা আপনার পোষা প্রাণীর সাথে সময় কাটান, বিষণ্ণতা আপনার কাছে আসবেনা।
১০. সামাজিক কর্মকাণ্ড বাড়ান : আমরা সামাজিক জীব, বেঁচে থাকতে হলে আমাদের সবার সাথে মিশতে হবে। যারা হাসিখুশি থাকেন, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেন, পরিবার নিয়ে ঘুরতে যান , তাদের বিষণ্ণতা কম হয়। তাহলে আর কোন বিষণ্ণতা নয়, শুরু হোক সুস্থ- স্বাভাবিক জীবন।
লেখাটি সম্পর্কে আপনার মতামত কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে অনুরোধ করছি। বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ সংক্রান্ত অন্যান্য প্রকাশনার আপডেট পেতে যোগ দিন ফেইসবুক, টুইটার , গুগল প্লাসে অথবা নিবন্ধন করুন ইমেইলে।
বিডি প্রতিদিন/১৮ এপ্রিল ২০১৭/এনায়েত করিম