শরীরের যত্ন, ত্বকের যত্ন, চুলের যত্ন কমবেশি সবাই করে। কিন্তু ঘরের ফার্নিচারের যত্ন কতজন নিয়মিত করেন তা বলা মুশকিল। আপনার বাড়ির যেকোনো আসবাবের যত্ন যদি সঠিকভাবে করা যায় তাহলে প্রতি বছর নতুন আসবাব না কিনেও ঘরের সজ্জায় বজায় রাখা যায় একটা নতুন রূপ। আসবাবের যত্ন বলতে অনেকেই নিয়মিত আসবাব পরিষ্কার করাকেই বোঝেন। কিন্তু এর বাইরেও আছে অনেক বিষয়। আগ্রহী পাঠকদের কথা মাথায় রেখে এখানে তুলে ধরা হলো আসবাবের যত্নের কিছু পদ্ধতি।
১. অনেকের বাসস্থানেই আসবাবের একটি বড় শত্রু হিসেবে দেখা দেয় নানা রকম পোকামাকড় যেমন কাঠকাটুনি বা ঘুণপোকার উপদ্রব। বিশেষ করে যাদের বাড়িতে কাঠের আসবাবের পরিমাণ বেশি তাদেরকে এই সমস্যায় পড়তে হয় প্রায়শই। এক্ষেত্রে কাঠের আসবাবকে পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তাতে হালকা নিমের তেল স্প্রে করতে পারেন।
২. ঘরের যে অংশটিতে রোদ পড়ে সেখানে কখনো কাঠের আসবাব রাখবেন না। এতে পলিশের রঙ হালকা হয়ে যাওয়া বা কাঠে ফাটল ধরার মতো নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কাজেই আসবাবের সামনে বা পেছনে কোনো দিকেই যেন সরাসরি রোদ এসে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখুন। এজন্য প্রয়োজনে জানালায় ভারী পর্দা ব্যবহার করুন।
৩. ডাইনিং টেবিল হোক কিংবা সেন্টার টেবিল, কখনোই এগুলোতে সরাসরি গরম জিনিস রাখবেন না। টেবিলের উপর কোনো কাপড় না থাকলে কমপক্ষে একটি কাগজ বিছিয়ে তার উপর গরম জিনিস রাখুন।
৪. কাঠের উপর প্রায়শই গোল রিং এর মতো দাগ পড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে প্রথমে দাগ পড়া স্থানটি ব্লটিং পেপার দিয়ে চেপে ধরুন। তারপর ব্লটিং পেপার সরিয়ে অলিভ অয়েল বা মেয়নেজ দিয়ে দাগের উপর ঘষে শুকনো করে মুছে নিন।
৫. কাঠের আসবাবের উপর গরম কিছু রাখার কারণে রং নষ্ট হয়ে গেলে নরম কাপড়ে কর্পূর বা স্পিরিট নিয়ে নির্দিষ্ট স্থানটিতে ঘষে দাগ তুলে ফেলুন।
৬. কাঠের আসবাব বহুদিন পর পর বার্নিশ না করিয়ে বছরে, দেড় বছরে একবার করে বার্নিশ করার চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে পুরোনো বার্নিশ এর উপর নতুন প্রলেপ না দিয়ে পুরোনো বার্নিশ পুরোপুরি তুলে ফেলে বার্নিশ এর নতুন আস্তরণ দিন।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ