আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খালেদা জিয়া শারীরিক অবস্থার এমন কোনো অবনতি হয়নি যে তাকে বিদেশ পাঠাতে হবে। মেডিকেল বোর্ডে খালেদা জিয়ার পছন্দের ডাক্তার রয়েছে। সেই মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বলছেন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো আছে এবং সুচিকিৎসা পাচ্ছেন।
শনিবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় নতুন সড়ক পরিবহন নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়ন হওয়া সড়ক পরিবহন আইন এর বিআরটিএ'র কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে এ কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, নতুন সড়ক পরিবহন আইন পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে দুর্ঘটনা কমে যাবে ও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর করার জন্য সারাদেশ সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আগামী সাতদিন এই সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হবে। এই সময় কোন পরিবহনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের না করার জন্য বলা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের এখানে অবকাঠামোগত উন্নয়নের কোন ঘাটতি নেই। সড়কে অনেক উন্নয়ন হচ্ছে। ঘাটতি আছে শৃঙ্খলার। পরিবহন এবং সড়কে শৃঙ্খলার যে ঘাটতি আছে এবং যে কারণে দুর্ঘটনা ঘটে পাশাপাশি যানজটের বিষয়টি আমাদের দুর্ভাবনার বিষয়। আমরা এ বিষয়গুলোতে আইনের কঠোর প্রয়োগ করবো। যার ফলে সড়ক এবং পরিবহন খাতে শৃংঙ্খলা ফিরে আসবে বলে মনে করি। হয়তো এ বিষয়ে আমাদের আরো একটু সময় লাগবে। তবে এসব কিছুর উর্ধে সকলের সচেতনতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা এ বিষয়েও ক্যাম্পেইন চালাবো এবং মানুষের মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবো।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের বক্তব্যের সাথে বিএনপি'র বক্তব্যের মিল নেই। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখতে গলাবাজি করছে। বিএনপি বারবার আন্দোলনের ডাক দেওয়ার পরও জনগণ সাড়া না দেওয়ায় আন্দোলনে ব্যর্থ, নেতৃত্বে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন নালিশ করছে মানুষের কাছে। এটি বিএনপি'র একটি রোগে পরিণত হয়েছে নালিশ করা। নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হতো তাহলে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি কেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে শুদ্ধি অভিযান চলছে। এরইমধ্যে জেলা পর্যায়ে ও তৃণমূল পর্যায়ে ভূমিদস্যু মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। এ সময় মন্ত্রীর সাথে ছিলেন বিআরটিএর চেয়ারম্যান ড. আহসানুল করিম পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশিদসহ বিআরটিএর উর্ধতন কর্মকর্তারা।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক