২২ জানুয়ারি, ২০২০ ১৯:১২

প্রধানমন্ত্রী বলতেন, আমাকে না পেলে জয়নুল আবেদীনের সঙ্গে যোগাযোগ করো : ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:

প্রধানমন্ত্রী বলতেন, আমাকে না পেলে জয়নুল আবেদীনের সঙ্গে যোগাযোগ করো : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন বিষয়ে বলতেন, আমাকে যদি না পাও তাহলে জয়নুল আবেদীনের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। জয়নুল আবেদীন প্রধানমন্ত্রীর কাছে এমনই বিশ্বস্ত এবং উপযুক্ত মানুষ ছিলেন। জয়নুল আবেদীন, যিনি দুর্দিনে বঙ্গবন্ধু কন্যা ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিলেন, তাকে হরিয়ে আমরা বাকরুদ্ধ। তিনি নিরহংকারী, নির্লোভ ও বিশ্বস্ত মানুষ ছিলেন।’

বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতিতে প্রয়াত সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীনের স্মরণে আয়োজিত নাগরিক শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

লোহাগাড়া নাগরিক কমিটির উদ্যোগে চুনতি মেহেরুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মরহুম আবেদীনের বড় ভাই ইসমাইল মানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোক সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি, নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক ও স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দীন নদভী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমদ, আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক ওয়াসিকা আযশা খান এমপি, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বডুয়া।  

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সোনার মানুষের দরকার। তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন সেই সোনার মানুষের বড় অভাব। নির্বাচনের আগে আমাদের রাজনীতিকরা মানুষকে কাছে টানে। অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে রঙ্গিন বেলুন উড়ায়। মনে হয় তারা কত জনদরদী। তবে নির্বাচন চলে গেলে, নির্বাচিত হয়ে গেলে- তারা অবলীলায় সব কিছু ভুলে যায়। এতে নির্বাচনের সময় আমরা যে মানুষের সঙ্গে অভিনয় করি নির্বাচনের পর সেটা মানুষ বুঝতে পারে।’

তিনি বলেন, অন্ধকারে শিক্ষার আলো জ্বালিয়েছেন আবেদীন, ‘লোহাগাড়ায় মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন উচ্চ বিদ্যালয় এমপিওভুক্ত করা হযেেছ। এই এলাকায় বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ নজর রয়েছে।’

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গত ১৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোসলেম উদ্দিন আহমেদ নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু গতকাল দেখলাম বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন সেখানে নাকি যারা বিদেশ থাকেন প্রবাসী ও মৃত ব্যক্তিরাও ভোট দিয়েছেন।’ ড. হাছান মাহমুদ বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘চট্টগ্রাম-৮ আসনের মহানগর অংশে ভোটারের সংখ্যা প্রায় পৌনে ৪ লাখ। তার মধ্যে মোসলেম উদ্দিন আহমেদ  মাত্র ৩৬ হাজার ভোট পেয়েছেন। যদি ভোট কেন্দ্র দখল হতো এবং তার ভাষ্য অনুযায়ি এই ধরনের ভোটাররা ভোট দিত, তাহলে মোসলেম উদ্দিন আহমেদ ৩৬ হাজার নয়, ১ থেকে ২ লাখ ভোট পেতো। এই ধরনের মিথ্যা ভাষণ দিয়ে তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে। তাদের বলবো, এ ধরনের মিথ্যে ভাষণ দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে কোন লাভ হবে না। জনগণ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার সঙ্গে রয়েছে।

লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌসিফ আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষযক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান কর্নেল ফোরকান, সাবেক সচিব সাজ্জাদুল হাসান, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন, সুচিন্তা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ইয়াসিন আরাফাত, লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ প্রমুখ।

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার /রেজা মুজাম্মেল 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর