১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২১:০২

আড়াই হাজার কোটি টাকার উদ্ধার সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হবে : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

আড়াই হাজার কোটি টাকার উদ্ধার সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হবে : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার উদ্ধার সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হবে। বিভাগীয় এবং জেলা শহর সমূহের জন্য ৬৫ ও ৫৫ মিটার উচ্চতায় উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর লক্ষ্যে ১৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১টি উন্নত মানের লেডার ক্রয় করা হবে।

তিনি বলেন, যেকোনো দুর্যোগে উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর ক্ষেত্রে উন্নত দেশের মত সক্ষমতা অর্জনে সরকার কাজ করছে। আজ ঢাকায় মিরপুর মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেটে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২১ উপলক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘ভূমিকম্প এবং অগ্নিকাণ্ডে করণীয় বিষয়ক সচেতনতামূলক মহড়া’য় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তৃতা করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. আগা খান এবং স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আবুল কাশেম মোল্লা। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ত্রাণ নির্ভর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার পরিবর্তে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আগাম সতর্কবার্তা প্রচার ব্যবস্থা শুরু করেন। উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জীবন ও সম্পদ বাঁচাতে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মাঝে প্রচারে সিপিপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে সিপিপি’র যাত্রা শুরু করেছিলেন যারা আগাম সতর্কবার্তা প্রচার এবং সন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষের জানমাল রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রেখে আসছে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক-নির্দেশনায় সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক সংখ্যা ৭৬ হাজার ২০ জনে উন্নীত হয়েছে। তিনি বলেন, উপকূলে ৫ হাজারের বেশি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয় ।

ডা. এনামুর বলেন, সচেতনতা এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পূর্বপ্রস্তুতি থাকলে যেকোনো দুর্যোগে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার সে কাজটাই করে যাচ্ছে। ২০১৯ সালে ঘূর্ণিঝড় ফণী ও বুলবুল এবং ২০২০ সালে ঘূর্ণিঝড় আম্পান  মোকাবেলা করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এসব ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সরকারের পূর্বপ্রস্তুতি থাকায় জানমালের ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম হয়েছে । এবছর ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবেলায়ও সরকারের ব্যাপক প্রস্তুতি ছিল। দারিদ্র্য বিমোচনসহ সামাজিক নিরাপত্তা অর্জনে জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ প্রশংসিত হয়েছে সারাবিশ্বে। তাই দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশকে এখন বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় ।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর