২৫ নভেম্বর, ২০২১ ১৯:৫০

রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে অতীতের বীরত্বগাঁথা স্মরণ করতে হয় : তথ্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে অতীতের বীরত্বগাঁথা স্মরণ করতে হয় : তথ্যমন্ত্রী

সংগৃহীত ছবি

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে অতীতের বীরত্বগাঁথা স্মরণ করতে হয়।

আজ দুপুরে রাজধানী শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ আয়োজিত স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে ধারণকৃত দুর্লভচিত্রের তিনদিনব্যাপী প্রদর্শনী ‘বাঙালির বীরত্বের চিত্রগাঁথা’ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। 

সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। 

প্রদর্শনী এবং এ উপলক্ষে অ্যালবাম প্রকাশের জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের আলোকচিত্র খুব বেশি নেই এবং যদি সংরক্ষণ করা না হয় তাহলে সেগুলো ধীরে ধীরে হারিয়ে যাবে। এগুলোকে সন্নিবেশিত করে একটি অ্যালবাম বের করে এটিকে সংরক্ষণের উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। 

বাঙালির ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে ড. হাছান বলেন, পাঁচ হাজার বছরের বাঙালির ইতিহাসে ১৯৭১ সালে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে প্রথম বাঙালি জাতি স্বাধীনতা অর্জন করে। এর আগে বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা বাস্তবে রূপায়িত হয়নি। ১৭৮৬ সালে ফকির মজনু শাহ বিদ্রোহ করে, ১৮৩১ সালে তিতুমীর বাঁশের কেল্লা তৈরি করে, ১৯৩০ সালে সূর্যসেন চট্টগ্রাম কারাগার লুন্ঠন করে, ১৯৪৪ সালে নেতাজী সুভাষ বসু ‘তোমরা রক্ত দাও, আমি স্বাধীনতা দেবো’ বলে স্বাধীনতার স্বপ্ন এঁকেছিলেন, স্বাধীনতা আসেনি। আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালিকে এমনভাবে উদ্দীপ্ত করেছিলেন যে, দেশের তরে নিজপ্রাণ সঁপে দিয়ে বাঙালিরা যুদ্ধে গিয়েছিল, হাজারে নয়, লাখে লাখে মানুষ যুদ্ধে গিয়েছিল। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এসময় বলেন, ‘শৈশবে আমি মুক্তিযুদ্ধের বিভীষিকা দেখেছি। দেখেছি আমার বসতবাড়ি দাউ দাউ করে জ্বলছে, আমার গাঁয়ে অনেককে হত্যা করা হয়েছে। আমার কচি রক্তে আগুন ধরেছে, আমারও মনে হয়েছে আমি মুক্তিযুদ্ধে চলে যাই। কিন্তু বয়স আমার প্রতিবন্ধক ছিল। আমি মুক্তিযুদ্ধে যেতে পারিনি। কিন্তু আমাদের পূর্বসরি মুক্তিযোদ্ধারা, সাধারণ জনগণ এবং আমাদের সশস্ত্রবাহিনী নিজের জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে যুদ্ধ করেছে। একটি প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জনগণের জনযুদ্ধে আমাদের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকা আমাদের স্বাধীনতাকে ত্বরান্বিত করেছে, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার সম্মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে আমাদের এই বাংলাদেশ রচিত হয়েছে।’ সূত্র: বাসস

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর