২২ মে, ২০২২ ১৯:৫৮

পণ্যের মান নিশ্চিতে বিএসটিআইকে আপসহীন হতে হবে : শিল্পমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

পণ্যের মান নিশ্চিতে বিএসটিআইকে আপসহীন হতে হবে : শিল্পমন্ত্রী

সংগৃহীত ছবি

পণ্যের মান, ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনকে (বিএসটিআই) আপসহীন হতে নির্দেশ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। একইসঙ্গে বিএসটিআই’র সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।

রবিবার রাজধানীর তেজগাঁওস্থ বিএসটিআই’র উদ্যোগে ‘বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশ দেন।

বিএসটিআই’র মহাপরিচালক (গ্রেড-১) ড. নজরুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে সভায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা ও এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু।  

অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পরিচালক (মেট্রোলজি) প্রকৌশলী সাজ্জাদুল বারী।  

এছাড়া অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিএসটিআই’র কাউন্সিলের সদস্য, মান প্রণয়নে বিশেষজ্ঞ, শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, স্টেকহোল্ডার ও সাংবাদিকরা অংশ নেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিএসটিআই সক্ষমতার দিক থেকে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। বিএসটিআই পণ্যের মান প্রণয়ন, পরীক্ষণ, মান সনদ দেওয়া, সঠিক ওজন ও পরিমাপের নিশ্চয়তা বিধান, ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমস সনদ দেওয়ার পাশাপাশি দেশীয় পণ্যের রপ্তানি বাড়ানোর ইতোমধ্যে হালাল সার্টিফিকেট দেওয়া শুরু করেছে। এ কার্যক্রম রপ্তানি বাণিজ্যে বিশাল ভূমিকা রাখবে। পণ্য পরীক্ষণ এবং ওজন ও পরিমাপের ক্ষেত্রে বিশ্বমানের সেবা নিশ্চিত করতে বিএসটিআইতে আরও অত্যাধুনিক ৮৯টি ল্যাবরেটরি স্থাপনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

বিএসটিআই’র সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কের কথা স্মরণ করে নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৭৪ সালে বিএসটিআই আন্তর্জাতিক মান সংস্থা- আইএসও’র সদস্যভুক্ত হয়। বিএসটিআই’র টেস্ট রিপোর্ট যাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গ্রহণযোগ্য হয় সে লক্ষ্যে সরকার ও বিএসটিআই কাজ করে যাচ্ছে। পণ্য উৎপাদনে পরিমাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভোক্তারা যেন প্রতারিত না হয় সেজন্য লেনদেনের ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত মান ও সঠিক পরিমাপের পণ্য নিশ্চিত করতে হবে।  

এছাড়া এ সফটওয়্যার ব্যবহার করে গ্রাহকরা ওজন ও পরিমাপ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম যথা: মোড়কজাত পণ্যের নিবন্ধন, ক্যালিব্রেশন সনদ ও ভেরিফিকেশন সনদের তথ্য সহজে যাচাই করতে পারবেন এবং পবিত্র কোরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে ওজন ও পরিমাপে কারচুপি না করা এবং ভোক্তা সাধারণের স্বার্থ রক্ষায় সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

প্রতিটি স্থল বন্দরে বিএসটিআই’র অফিস স্থাপনের প্রস্তাব করে এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যেসব স্থল বন্দর রয়েছে তার প্রতিটি স্থল বন্দরে বিএসটিআই’র ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হলে আমদানি-রপ্তানি অনেক গতিশীল হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের পণ্য ভারতে রপ্তানির জন্য বিএসটিআই’র সার্টিফিকেট ভারতীয় কর্তৃপক্ষ যেন গ্রহণ করে সেজন্য উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাব করেন। ফলে বাংলাদেশের খাদ্য পণ্য রপ্তানি অনেক বাড়বে। এছাড়া তিনি দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় স্থানীয় চেম্বার প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিকে সম্পৃক্ত করারও প্রস্তাব করেন। গুটিকয়েক অসাধু ব্যবসায়ীর কর্মকাণ্ডের দায়ভার ব্যবসায়ী সংগঠন নেবে না। তিনি বিএসটিআইকে এ বিষয়ে কঠোর হওয়ার জন্য আহ্বান জানান।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর