তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আজ মানবাধিকারের কথা বলা হয়। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল। এটা বিশ্বের ইতিহাসে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অন্যতম উদাহরণ।’
‘যে নেতা জাতিকে স্বাধীন করেছে সে নেতাকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করা হলো। আরজু মনি ও শেখ মনিকে হত্যার পর পরশ ও তাপস তাদের লাশ ধাক্কা দিয়ে বলছিল বাবা ওঠো মা ওঠো। সে হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে না এমন আইন করেছিল জিয়াউর রহমান। এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন। জিয়াউর রহমান হাজার হাজার সেনাবাহিনীর সদস্যকে হত্যা করেছিল। বিনা বিচারে সেনা অফিসারদের ফাঁসি দিয়েছে। অনেক সময় এক রশিতে দুইজনকে ফাঁসি দিতে হয়েছে। অনেক সময় ফাঁসি দেওয়ার ছয় মাস পর রায় হয়েছে। সেসময় ক্যাঙ্গারু কোর্টে বিচার হতো।’
বুধবার রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটি এলাকায় আলী আহাম্মদ চুনকা নগর মিলনায়তনে সাংবাদিকদের মাঝে কল্যাণট্রাস্ট্রের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের সময় পতাকা পরিবর্তনের কথাও বলা হয়েছিল। চাদ তারার পতাকা। অর্থাৎ তারা দেশ পরিবর্তন করতে চেয়েছিল। আমি ইতিহাস জানি বলেই বলছি। এ জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর সমস্ত খুনীকে পুনর্বাসন করেছেন। ৭৯ সালের নির্বাচনের পর শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান সাত কোটি মানুষের মধ্যে আর কাউকে খুঁজে পাননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় সাক্ষী আসামিরা জিয়াউর রহমানের কথা বলেছে। আমি আওয়ামী লীগ নেতাদের বলব, এগুলো খুঁজে বের করুন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আজ যখন ১৫ আগস্ট নিজের জন্মদিন বলে খালেদা জিয়া কেক কাটেন, এখন আবার মিলাদ পড়ায়। এ তারিখ তার পাসপোর্ট, সার্টিফিকেট কোথাও নেই। এমনকি করোনা টেস্টের রিপোর্টেও নেই। সেই ১৯৯৮ সাল থেকে তিনি ১৫ আগস্ট জন্মগ্রহণ করলেন। আগে অন্য তারিখে জন্মদিন পালন করতেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি বাবার মুখে শুনেছি, তিনদিনে বিচার হয়েছে, তারপর ফাঁসি হয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রে তিনমাস পর বিচার হয়েছে তার আগেই ফাঁসি হয়েছে। আজ তারা ঢাকার রাস্তায় মানবাধিকারের জন্য সমাবেশ করেছে। ১৫ আগস্টের সাথে জিয়াউর রহমান যুক্ত আর ২১ আগস্টের সাথে খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া জড়িত। আমি নিজেও ২১ আগস্ট আহত হয়েছিলাম। খালেদা জিয়া সেদিন বলেছিলেন, তদন্ত করতে হবে না।’
অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক আনোয়ার হোসেনসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ