ভারতকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ভারত সব সময় তার পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে প্রভুত্ব করেছে, যা কারো জন্যই শুভ নয়। তবে পারস্পারিক শ্রদ্ধা বোধের মাধ্যমে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া উচিত।’
তিনি বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের যে রাজনীতি ও আচরণ, সেটা কোন পরিপ্রেক্ষিতে এবং কীভাবে করছে, তারাই ভালো বোঝে। কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা দেখতে পাচ্ছি, শুধু বাংলাদেশ নয়, পার্শ্ববর্তী অন্য দেশগুলোর সঙ্গেও ভারতের সম্পর্ক খুব ভালো যাচ্ছে না। এর অন্যতম প্রধান কারণ, ভারত সবসময় এই দেশগুলোর ওপর একটা প্রভুত্ব করেছে। যেটা ভারতের জন্যও শুভ নয়, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর জন্য শুভ নয়।’
সোমবার জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী আওয়ামী শাসনের হাত থেকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ মুক্ত হয়েছে। এই বিপ্লবে দেশের অসংখ্য ছাত্র-জনতা, এমনকি নারী ও শিশু প্রাণ দিয়েছেন। এই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নারীদের যে অবদান, সেটাকে আমরা কখনোই অস্বীকার করতে পারবো না।’
তিনি বলেন, ‘যে স্বাধীনতা আজকে অর্জন করা হয়েছে, সেই স্বাধীনতাকে সুসংহত করার জন্য; গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করার জন্য এবং দেশে আইনের শাসন, জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য জাতীয়তাবাদী মহিলা দল তাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে।’
অন্তবর্তী সরকার সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তবর্তী সরকার কী কী সংস্কার করবে, তা জনগণের সামনে তুলে ধরা উচিত। যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা উচিত বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, যে স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে তার সুফল পেতে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত