অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ফ্যাসিবাদের প্রধান যিনি ছিলেন তিনি হলেন শেখ হাসিনা। তিনি পালিয়েছেন, তার মন্ত্রী সংসদ সদস্যরা পালিয়েছেন। তার কর্মীরা যারা প্রশাসনে ছিলেন তারা সেভাবে আছেন। সচিবরা সেভাবে আছেন। আমার দেখামতে দুদকেও কোনো পরিবর্তন হয়নি। শেখ হাসিনা যেখানে যেভাবে সেটাপ করেছেন সেভাবেই আছে। আগের সরকার এবং বর্তমান সরকারের মধ্যে একটা পার্থক্য থাকতে হবে। ফ্যাসিবাদ এবং গণতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। আগের সরকার ছিল ফ্যাসিবাদ আর বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক।
রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে জাতীয় নির্বাচন, নাগরিক ভাবনা, জাতীয় সংলাপ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, নিত্য-প্রয়োজনীয় দ্রব্যের যে সিন্ডিকেট আগের সিন্ডিকেট আছে। তারা দ্রব্যমূলের নিয়ন্ত্রণ করছে। তাহলে পরিবর্তন হলো কোথায়? এই সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। এখানে কোনো সিন্ডিকেট থাকা যাবে না।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আমরা এ সরকারকে সমর্থন দিয়েছি ভালো কাজ করার জন্য। একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়ার জন্য যেখানে যা সংস্কার করা দরকার করতে হবে। তবে একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো ভালো কাজ এগিয়ে নেওয়া যাবে বলে আমার মনে হয় না। বর্তমান সরকারের যারা আছেন তারা বিভিন্ন পেশা-শ্রেণির মানুষ একটা ভালো কাজের জন্য এসেছে। তাদের আমরা নির্বাচনের কথা বলেছি। তার মানে এই নয় কালই নির্বাচন দিতে হবে। কিন্তু নির্দিষ্টকরণ করতে হবে। যে কারণে আমরা নির্বাচনের রোড ম্যাপের কথা বলেছি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও বিরোধী দলগুলোকে সতর্ক হতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, চারদিকে শুধু দেশের মধ্যে নয় বিদেশ থেকেও ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। যদি ফ্যাসিবাদ আবার আসে তাহলে এদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের কি হবে এটা বলে শঙ্কিত করতে চাই না।
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান এবং বিএনপিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যারা করছেন তাদের আমি সতর্ক করবো। বিএনপিকে যদি কার্যকর ভূমিকার বাইরে নিয়ে যেতে চান। তাহলে ফ্যাসিবাদ সামনে আসবে। বিএনপিকে যদি রুখতে চান। তাহলে কার্যকরভাবে ফ্যাসিবাদকে অভিনন্দন জানাতে হবে। এজন্য বলেছি এদেশের অন্যান্য যে রাজনৈতিক দলগুলো আছে তাদের সঙ্গে নিয়ে আমাদের নেতা তারেক রহমান আগামীতে পথ চলতে চান।
দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির চেয়ারার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাষানী পরিষদের আহ্বায়ক বাবলু, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, কৃষক দল নেতা এসকে সাদী প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত