নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় নারায়ণগঞ্জে অনেকগুলো খুন হয়েছে। অস্ত্র হাতে সন্ত্রাসীরা নিরস্ত্র মানুষের ওপর গুলি চালিয়েছে। এই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে হবে। এদের বিচার করতে হবে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের রেবতী মোহন পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, নৈরাজ্য ও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে নাসিকের ৫নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে এক জনসভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
গিয়াসউদ্দিন আরও বলেন, সন্ত্রাসী ফ্যাসিস্ট সরকারকে আমরা দীর্ঘ আন্দোলনের মাধ্যমে বিতাড়িত করেছি। আমরা অনেক রক্ত দিয়েছি। দীর্ঘ ১৬ বছর আগে হাসিনা সরকার এদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। দেশের সম্পদ ও অর্থ কে লুটপাট করে ব্যাংক খালি করে দিয়েছিল। অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে। আমাদের কাজ এখন তাদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো। এই সন্ত্রাসীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হলো আমাদের প্রথম দায়িত্ব। যদি আমরা তা না করি, এরা আবার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের মানুষের উপর চেপে বসবে।
তিনি সিদ্ধিরগঞ্জবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, 'আমরা সবাই আসুন ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ এলাকার উন্নয়নের কাজ করি। এ এলাকার সকল মানুষের সুখ-দুঃখের সাথি হই। বিএনপি’র নেতাকর্মীরা যদি কোন অন্যায় করে, চাঁদাবাজি করে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে তবে আমাদের দৃষ্টিতে আনবেন তাদের রেহাই দেওয়া হবে না। তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জনসভায় ৫নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের উপস্থিত ছিলেন- সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র সভাপতি মো. মাজেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম জুয়েল, সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর হোসেন, সহ-সভাপতি জি. এম সাদরিল, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব মুহাম্মদ কায়সার রিফাত, জেলা তরুণ দলের সভাপতি টিএইচ তোফা, ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. রওশন আলী, ৩নং বিএনপির সভাপতি তৈয়ব হোসেন, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আইল মুন্সীসহ নেতাকর্মীরা।
বিডি প্রতিদিন/মুসা