বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, শেখ হাসিনার নির্যাতন আল্লাহ তায়ালাও সহ্য করেননি। আল্লাহ বলেছেন- আমি নির্যাতনকারীকে নির্যাতন করতে দেই। দেখি সে কতখানি করতে পারে?কিন্তু যেদিন সীমা শেষ হয় সেদিন আমি তাকে টান দেই।
টুকু বলেন, হাসিনা তার বাড়া ভাতটুকু খেতে পারেনি। সেই ভাত জনগণ খেয়েছে। আর শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে পালিয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ সদর থানা বিএনপি আয়োজিত বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ আব্দুল আলীম ও রঞ্জুর স্মরণসভায় কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নে পাইকাপাড়া মডেল হাইস্কুল মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি ভেবেছিলাম আমি দেশের মাটিতে আসতে পারব না। আমার লাশের মুখ দেখবে সিরাজগঞ্জের মানুষ। কিন্তু আল্লাহ মহান। আল্লাহ আমাকে দেশের মাটিতে ফিরিয়েছেন। তাই কেউ অহংকার দেখাবেন না। অহংকারের মালিক একমাত্র আল্লাহ। অহংকার দেখালে কি হয় তা শেখ হাসিনাকে দেখে শিখবেন।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আমরা ক্ষমতায় ছিলাম। ক্ষমতার বাইরেও ছিলাম। কিন্তু পালাতে হয়নি। এটাই হলো-বিএনপি, এটাই হলো বিএনপির রাজনীতি।
নির্যাতন প্রসঙ্গে বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদ ও কালিয়া হরিপুরে বাঐতারায় জাহাঙ্গীর ও বাবলুসহ ৪ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে প্রথম সিরাজগঞ্জে রক্তের রাজনীতি শুরু করেছিল। তাদের আঙ্গুল তুলে ফেলা হয়েছিল। চেহারা বিভৎস্য করা হয়েছিল। শুধু সিরাজগঞ্জ নয়, ১৬টি বছর আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের মানুষের উপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়েছিল।
সমাবেশ শেষ শহীদ আব্দুল আলীম ও রঞ্জুর পরিবারকে ১ লক্ষ টাকা করে অনুদান প্রদান করা হয়।
সদর থানা বিএনপির সভাপতি রফিক সরকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি রোমানা মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, যুগ্ম সম্পাদক নুর কায়েম সবুজ, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুন্সী জাহিদ আলম, সদর থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক অ্যাড. নাজমুল হক প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল