বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে সবাইকে শপথ নিতে হবে দেশরক্ষার। যুদ্ধের মাধ্যমে রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব কেউ বিপন্ন করতে পারবে না। যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ অন্য কোনো দেশের ইশারায় ষড়যন্ত্র সহ্য করবে না।
রবিবার সকালে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া বাজারে শতাধিক ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে ঢেউটিন বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, বিএনপির রাজনীতি জনকল্যাণে নিবেদিত। বিরোধী দলের অবস্থানে থেকেও তারেক রহমান জনগণের দুঃখ-দুর্দশায় মানুষের পাশে থাকছেন। বৈরী পরিবেশেও জনগণের পাশে থাকার ও জনগণকে সঙ্গে রাখার নীতি অবলম্বন করছেন। বিএনপি, শহীদ জিয়া, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান কথামালার রাজনীতি নয়, সরকারে না থেকেও দুর্যোগকালেও মানুষের পাশে যেভাবে থাকছেন, তা নজিরবিহীন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বিগত ১৫ বছরে লিপ সার্ভিস ও ফটোসেশনের রাজনীতি এবং দুর্নীতি, লুটপাট, তাঁবেদারি ও জনগণের অধিকার হরণ করেছে। রাজনীতির নামে অভিনয় করে জনগণের সাথে প্রতারণা করেছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির কবর রচিত হয়েছে। জনগণকে কবর দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগ নিজেরাই কবরে ঢুকেছে। তারা গণশত্রু, গণহত্যাকারী...। লুটপাটকারীদের জায়গা বাংলাদেশের রাজনীতির ময়দানে আর হবে না।
তিনি আরও বলেন, জনগণের রায়ে তারেক রহমান রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে ৩১ দফার আলোকে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত ও জনকল্যাণে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবেন। ফ্যামিলি কার্ড, কৃষক কার্ড, পল্লী রেশন, সবার জন্য চিকিৎসা, শিক্ষা, কর্মসংস্থান, বেকারভাতাসহ যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেবেন। দুর্নীতি, লুটপাট বন্ধ করে মাঠে-ঘাটে, কল-কারখানায় উন্নয়ন-উৎপাদনের জোয়ার সৃষ্টি করবেন।
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, শিক্ষার্থীদের গণবিপ্লবে ফ্যসিবাদের পতনের পর দেশ গঠনে যে সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে, তা বন্ধ করতে দেশ-বিদেশে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ষড়যন্ত্রকারী যত শক্তিশালী হোক না কেনো, হাজার হাজার ছাত্র-জনতার রক্তে রঞ্জিত জাতীয় ঐক্যে তারা ব্যর্থ হতে বাধ্য। তাড়াতাড়ি নির্বাচন হলে ষড়যন্ত্র টিকবে না। আর দীর্ঘায়িত হলে ষড়যন্ত্র ডালপালা বিস্তার করবে।
এতে সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মফিজ উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম কাজল, আনিসুর রহমান মানিক, মোয়াজ্জেম হোসেন খান লিটন, ফরহাদ রাব্বানী সুমন, বিএনপি নেতা আবদুল কুদ্দুছ, সোলায়মান সরকার, আব্দুস শহীদ, আবু সিদ্দিক, হযরত আলী, আলী হোসেন, রফিকুল ইসলাম, শাহ মেম্বার, আবদুল মোমেন শাহীন, মো. শাজাহান মিয়া, আব্দুল মতিন, খলিলুর রহমান, ওয়াজেদ আলী মাস্টার, রফিকুল ইসলাম, সাজ্জাদ হোসেন, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম ডলার।
আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক নয়ন মন্ডল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব কামরুল হাসান সুমন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ফারুক হোসাইন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জালাল উদ্দীন সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম পলাশ, কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক সারোয়ার হোসেন, তাঁতী দলের সদস্য সচিব হাসান শাহ, ওলামা দলের সভাপতি হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ওবায়েদ উল্লাহ, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মানিক ও সদস্য সচিব শামীম ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/কেএ