সাদা বরফের পাহাড়ে তার বাস। কিন্তু মানুষকে আনন্দ দিতে তারই স্থান হয়েছে মাত্র ৪৩০ বর্গ ফুটের একটা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে। তার মন খারাপ হওয়া কি স্বাভাবিক নয়? চীনের একটি শপিং মলের ভিতরে একটি ছোট চিড়িয়াখানায় বেশ কিছুদিন ধরে বন্দি অবস্থায় রয়েছে মেরু ভাল্লুক ‘পিৎজা। তাকে নিয়েই সারা পৃথিবী জুড়ে ওঠেছে প্রতিবাদের ঝড়।
পশুপ্রেমীরা বলছেন, পিৎজা নাকি পৃথিবীর সবচেয়ে দুঃখী ভাল্লুক। এভাবে স্বাভাবিক পানি-বায়ু ছাড়া একটি প্রাণীকে কোনভাবেই রেখে দেওয়া যায় না্ পিৎজার একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে সম্প্রতি, যেখানে দেখা যাচ্ছে, কাঁচের আবরণের ওপাশ থেকে শুধু মাথা ঝাঁকিয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে ভাল্লুকটি। মাঝে মাঝে সামনের পা দিয়ে ধাক্কা দিচ্ছে দেওয়ালে।
প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটু খালি বাতাসের জন্যই এমন অস্থির হয়ে উঠেছে ভাল্লুকটি। এইভাবে থাকলে মানসিকভাবে একেবারে ভেঙে পড়বে প্রাণীটি। আয়ুও কমে আসবে অনেকটা। তাই একে নিজের গৃহে ফিরিয়ে দেওয়াই হবে সঠিক কাজ।
কিন্তু পিৎজার যে খুব তাড়াতাড়ি মুক্তির সম্ভবনা রয়েছে, এমনও নয়। কয়েকদিন আগেই ইংল্যান্ড এই মেরু ভল্লুকটি নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল। সে আর্জি পূরণ করা হয়নি, চীন বলেছে, দেশের বিষয়ে বৈদেশিক মত চাই না। এতকিছুর মধ্যেও সারা পৃথিবী থেকে প্রায় ১০ লক্ষ লোকের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে প্রশাসনের কাছে পাঠিয়েছে চীনের পশুপ্রেমী সংগঠনগুলো। এক বাক্যে পিৎজকে ছেড়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন সবাই।
বিডি-প্রতিদিন/৩০ অক্টোবর, ২০১৬/মাহবুব