অ্যালান বিন নিলস নাসার একজন মহাকাশচারী। ১৯৬৯ সালে অ্যাপোলো-১১'র আরোহী হয়ে নিল আর্মস্ট্রং এবং বাজ অলড্রিন প্রথম পা রাখেন চাঁদের মাটিতে। এর চার মাস পরেই অ্যাপোলো-১২ পাড়ি দেয় মহাকাশে। পিট কনরাড এবং অ্যালান বিন ওই অ্যাপোলো-১২'র নভোচারী হিসেবে চাঁদে পৌঁছান।
১৯৭৩-এ তিনি দ্বিতীয় স্কাইল্যাব মিশনের কম্যান্ডার হিসেবে ৫৯ দিন মহাকাশে কাটিয়ে আসেন। ১৯৭৫-এ রুশ-মার্কিন যৌথ ভয়েজ অ্যাপোলো-সয়ুজ-এও তিনি ব্যাক আপ কম্যান্ডার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
নাসা থেকে অবসর নিয়েছেন ১৯৮১ সালে। এখন অ্যালানের বয়স ৮৫। এখন ছবি আঁকাই তাঁর সব সময়ের কাজ। তাঁর দীর্ঘ মহাকাশ অভিজ্ঞতা থেকে তিনি এক চিরায়ত প্রশ্নের উত্তর দিলেন সম্প্রতি। অস্ট্রেলিয়ার এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অ্যালান জানিয়েছেন— তিনি মনে করেন না, ভিন্ন গ্রহ থেকে কেউ কখনও পৃথিবী পা রেখেছে।
তার মতে, মানব সভ্যতার সমতুল কোনও সভ্যতা অন্য কোথাও থাকা সম্ভব নয়। মানব সভ্যতা অত্যন্ত বন্ধুভাবাপন্ন। যদি ভিন গ্রহ থেকে কেউ কখনও এসে থাকত, সে মানব সমাজ থেকে মুখ লুকিয়ে থাকত না।
সেই সঙ্গে অ্যালান এ-ও জানান, ভিন গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব সম্পর্কে তিনি অবিশ্বাসী নন। মহাজগতে কোটি কোটি নক্ষত্রলোকের অগণিত গ্রহ-উপগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকতেই পারে। কিন্তু সেখান থেকে কেউ কখনও পৃথিবীতে আসেনি।
ভিন গ্রহের প্রাণিরা পৃথিবীতে এলে তারা মানুষের বেশ কিছু কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করত। কারণ, তাদের সভ্যতা মানুষের চাইতে অবশ্যম্ভাবী ভাবে উন্নত। না হলে তারা মানুষের আগে মহাকাশ পাড়ি দিতে পারে না। তেমন কিছুই তো ইতিহাসে ঘটেনি।
এর আগে ২০০৯ সালে অ্যাপোলো ১৪-র মহাকাশচারী এডগার মিচেল ইউএফও-সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ভিনগ্রহীরা পৃথিবী ভ্রমণ করে থাকতে পারে। ২০১৬ সালে তিনি প্রয়াত হয়েছেন। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই অ্যালান বলেছেন, একজন মহাকাশচারী মত প্রকাশ করলেই তাকে সত্যি হিসেবে ধরে নিতে হবে, এর কোনও বাধ্যবাধকতা রয়েছে কি?
সূত্র : এবেলা