যে আগুন বিঘার পর বিঘা ফসল, ঘর-বাড়ি, বন, জঙ্গল, জীবন পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়, সেই আগুনও মাটির কাছে এসে নিজের দাপট খুইয়ে সর্বশান্ত হয়ে নিস্তেজ হয়ে যায়। তাই যুগ-যুগান্তর ধরে মাটিকেই সহিষ্ণুতার প্রতীক হিসেবে মেনে এসেছে মানুষ। কিন্তু সহিষ্ণুতারও তো সীমা রয়েছে। সে সীমারেখা পেরলে তার মাশুল তো গুণতেই হবে। সহ্যের বাঁধ যখন ভাঙে তখনই ঘটে অঘটন। এমনই আভাস মিলল কর্নাটকে। যেখানে আগুনের সংস্পর্শে এসেই দাউদাউ করে জ্বলে উঠছে সহিষ্ণু মাটিও।
অবাক করা এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের কর্নাটকের মাইসুরুতে। যেখানে নীরিহ মাটির সংস্পর্শে আগুন আসা মাত্রই তা উঠছে জ্বলে।
প্রকৃতির এই বিচিত্র আচরণে প্রথমে বেশ অবাকই হয়ে ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রথমে তারা বুঝতেই পারছিলেন না কেন এমন স্বভাববিরুদ্ধ আচরণ করছে তাদের এতদিনের চেনা মাটি। খবর চাউর হতেই ছুটে আসেন বিশেষজ্ঞরা। মাটির নমুনা নিয়ে হয় পরীক্ষা-নীরিক্ষা। তারপর জানা যায় আসল সত্য। প্রকৃতির এই অদ্ভুত আচরণের নেপথ্যে রয়েছে মানুষের কাণ্ডকারখানাই।
জানা গেছে, এলাকার কাছেই রয়েছে একটি রাসায়নিক কারখানা। সেখান থেকেই দূষিত বর্জ্য পদার্থ এসে মিশছে এলাকার মাটিতে। দীর্ঘদিন ধরেই ছড়াচ্ছে এই দূষণ। যার ফলে মাটি এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে স্বভাব বিরুদ্ধ আচরণ করছে এবং আগুনের সংস্পর্শে এলেই জ্বলে উঠছে।
গোটা ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। এর প্রতিকারের দাবিও জানিয়েছেন তারা। তবে এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
বিডি প্রতিদিন/১৭ এপ্রিল ২০১৭/এনায়েত করিম