১৬ এপ্রিল, ২০১৯ ০৮:৪৫

চিকিৎসকদের অবাক করে বাড়ি ফিরেছে 'ক্ষুদ্র' কনোর

অনলাইন ডেস্ক

চিকিৎসকদের অবাক করে বাড়ি ফিরেছে 'ক্ষুদ্র' কনোর

গত জুলাইয়ে জন্ম নেয়া শিশু কনোর অবশেষে এ মাসে বাড়ি ফিরে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের এ শিশুটি মাত্র ১১ আউন্স ওজন নিয়ে জন্মেছিল। 

নিউইয়র্কের ওয়েস্টচেস্টার কাউন্টির ব্লাইথেডেল চিল্ড্রেনস হাসপাতালের শিশুবিভাগের প্রধান ডেনিস ডেভিডসন বলেন, কনোর সম্ভবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেঁচে থাকা সবচেয়ে ছোট সন্তানদের মধ্যে একজন।

কনোরের আকার ছিল মানুষের হৃদপিণ্ডের মতো। চিকিৎসকেরা বলেন, জন্ম নেওয়ার মতো আকারই ছিল না কনোরের। জন্মের পরে কনোরের বাবা নিজের এক হাতের তালুতে ধরে রাখতে পারতেন সদ্যোজাতকে।

মঙ্গলবার, যখন কনোরকে তার বাবা-মা, জ্যামি এবং জন ফ্লোরিওয়ের সাথে বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেন চিকিৎসকেরা তখন তার ওজন প্রায় ১১ পাউন্ড, জন্মের সময়ের ১৫ গুণ বেশি!

২৯ বছর বয়সী জ্যামি ফ্লোরিও বলেন, জন্মের সময় মাত্র নয় ইঞ্চি লম্বা ছিল কনোর। ডেভিডসন বলেন, ওর বাবা মা অবিশ্বাস্যভাবে কনোরের ক্লিনিকাল অবস্থার সামান্যতম বিষয়গুলোও পর্যবেক্ষণ করত, এর মধ্যে ছিল দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসের রোগ, নিউরোডেভেলপমেন্ট ডিসঅর্ডার এবং খাওয়ানোর সমস্যা।

কনোরের বাবা জন বলেন, আমরা অবশেষে ওকে এখানে আনতে পেরে খুব খুশি, কিন্তু এখন আরও কাজ ও দায়িত্ব বাড়ছে। এখন ওর যত্ন নেওয়ার জন্য আমাদের কোনও সহকর্মী নেই, সবটাই আমাদের করতে হবে।

একটি জরুরি সি-সেকশন জন্মের মধ্যে দিয়ে ডেলিভারি হয় কনোরের এবং মারিয়া ফেরারি চিল্ড্রেনস হাসপাতাল নবজাতকদের আইসিইউতে পাঁচ মাস রাখা হয় তাকে, পরে ব্লাইথেডেল চিলড্রেন হাসপাতাল আরও চার মাস। জ্যামি ফ্লোরিওর গর্ভধারণের ২৫ তম সপ্তাহে চিকিৎসকেরা তাকে বলেন যে কনোরের বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টি পাওয়া যাচ্ছে না, এবং জ্যামিকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। জ্যামির প্ল্যাসেন্টার মধ্যে কিছু সমস্যা ছিল যে কারণে কনোর স্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টি গ্রহণ করতে পারছিল না। এক সপ্তাহ পরেই, চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নিলেন যে একটি জরুরি সি-সেকশন প্রয়োজন।

সূত্র: এনডিটিভি 

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর