১২ জানুয়ারি, ২০২১ ২২:১১

মসৃণ বস্তুতে সাপের চলাচলের নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার (ভিডিও)

অনলাইন ডেস্ক

মসৃণ বস্তুতে সাপের চলাচলের নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার (ভিডিও)

সাধারণত সরলরৈখিক পদ্ধতিতে পার্শ্ব-দোলনের মাধ্যমে চলাচলে করে সাপ। খাঁড়া ও মসৃণ পৃষ্ঠ বেয়ে ওপরে উঠার ক্ষেত্রে অন্তত দুই জায়গায় ভর দেয় এবং নড়াচড়া করে সাপ। কিন্তু সিলিন্ডার সদৃশ মশৃণ বস্তুর গা পেঁচিয়ে বেয়ে ওপরে উঠার দৃশ্যে হতবাক হয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ব্রাউন ট্রি নামে এক প্রজাতির সাপের এমন বৈশিষ্ট লক্ষ্য করা গেছে। সরীসৃপদের চলাচলের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা আগে কখনো দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন সাপ বিশেষজ্ঞরা। 

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি অব সিনসিনাটির বিজ্ঞানীরা সাপের চলাচলের সক্ষমতা নিয়ে নতুন এ তথ্যের সন্ধান পেলেন।

১৯৪০-৫০ এর দশকে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ব্রাউন ট্রি সাপের দৌরাত্ম্য দেখা যায়। ওই অঞ্চলে সাপটির আক্রমণের শিকার হতে থাকে বন্যপাখিরা, এমনকি বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ হয়ে দাঁড়ায় এ সাপ। সাপগুলো যাতে গাছের ওপর পাখির বাসা পর্যন্ত পৌঁছতে না পারে এমন নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে দেন বিজ্ঞানীরা। পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণের জন্য ভিডিও ক্যামেরাও স্থাপন করা হয়।

দেখা যাচ্ছে, নিরাপত্তা বেষ্টনীর লম্বা লৌহদন্ড পেঁচিয়ে বেয়ে বেয়ে ওপরে পাখির বাসায় পৌঁছে যায় সাপ। এ পদ্ধতিকে বলা হয়, ল্যাসোনিং। গাছে প্যাঁচ দিয়ে এর ওপর ভর দিয়ে ওপরের দিকে ওঠে যায় ব্রাউন ট্রি সাপ।

সাধারণত সরলরৈখিক পদ্ধতিতে পার্শ্ব-দোলনের মাধ্যমে চলাচলে করে সাপ। খাঁড়া ও মসৃণ পৃষ্ঠ বেয়ে ওপরে উঠার ক্ষেত্রে অন্তত দুই জায়গায় ভর দেয় এবং নড়াচড়া করে সাপ।

কিন্তু ল্যাসোনিং পদ্ধতিতে সরীসৃপের চলাচল সহজ নয়। গবেষণাটির সহ-লেখক কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটির থমাস সেইবার্ট বলেন, ‘নিরাপত্তা বেষ্টনী পার করে সাপগুলো ওপরে উঠে যেতে পারবে এটা আমরা ভাবতেই পারেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘চার ঘণ্টা পরই আচমকা দেখতে পাই, সাপগুলো দলা পাকিয়ে নিজের দেহের ওপর ভর দিয়ে ওপরে উঠে যাচ্ছে। ভিডিওর এই অংশটিই আমরা টানা ১৫ বার দেখেছি। এ পর্যন্ত আমরা যা দেখেছি, কোনো কিছুর সঙ্গেই এর তুলনা হয় না।’

বিজ্ঞানীদের মতে, সরীসৃপদের চলাচলের নতুন এ পদ্ধতি আবিষ্কারের পর সাপের হাত থেকে পাখিদের রক্ষার বিষয়টি আরও সহজ হবে।

 


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর