কর্ণফুলী থানার পশ্চিম পটিয়া এলাকায় কোরিয়ান ইপিজেডে (কেইপিজেড) একটি বিদেশি কারখানায় বেতন ভাতা নিয়ে বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা। এসময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হটাতে গেলে শ্রমিকদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। এসময় পুলিশ গুলি ছুড়লে পারভিন আক্তার (১৮) নামে এক শ্রমিক নিহত হন। এছাড়া পুলিশসহ আরও কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। এর মধ্যে তিন পুলিশ সদস্যসহ ১৬ জনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে কেইপিজেডের কর্ণফুলী স্পোর্টস ওয়্যার লিমিটেড (কেএসএল) নামে ইয়ং ওয়ান গ্রুপের একটি কারখানায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছিল।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত নায়েক আবুল বাশার জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় পারভিনকে হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেছেন।
চট্টগ্রামের শিল্প পুলিশের গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক আরিফুর রহমান জানান, ইয়ং ওয়ানের কেএসএল নামের কারখানাটিতে বৃহস্পতিবার নতুন স্কেলে শ্রমিকদের বেতন দেয়া হচ্ছিল। মধ্যাহ্ন বিরতির সময় দুপুর ১টার দিকে ২০ থেকে ২৫ জন শ্রমিক কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেন, তাদের বেতন ঠিকভাবে দেয়া হলেও যানবাহন ভাতা কম দেয়া হয়েছে। এসময় কর্মকর্তাদের সঙ্গে শ্রমিকদের বাকবিতণ্ডা হয়। এর এক পর্যায়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেয়।
তিনি বলেন, পুলিশ দেখে শ্রমিকরা আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠে। তারা পুলিশের দিকে ইট, পাটকেল ছুঁড়লে পুলিশ কয়েক রাউণ্ড টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। শ্রমিকরা কেইপিজেডের ভেতরে ব্যাপকভাবে ভাঙচুর চালাচ্ছে এবং বিভিন্ন মালামালে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে।