সাবেক রাষ্ট্রপতি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে রাডার ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বিব্রত বোধ করেছেন বিচারক। ঢাকা বিভাগীয় স্পেশাল জজ আব্দুর রশিদ মামলার যুক্তিতর্ক শুনতে অস্বীকৃতি জানিয়ে অন্যত্র এটি শুনানির জন্য বলেন। বুধবার বিকেল সোয়া ৩টায় তিনি এ আদেশ দেন।
বিচারক বলেন, ‘আমি এ মামলার যুক্তিতর্ক শুনবো না। আপনারা অন্য কোথাও মামলাটি হস্তান্তর করুন।’
এ বিষয়ে এরশাদের আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘কি কারণে তিনি মামলাটির বিচারকার্য করবেন না এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলেননি।’
বুধবার দুপুরে মামলাটিতে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপনের দিন ধার্য ছিল।
মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ১৫ মে আত্মপক্ষ সমর্থন করে রাডার ক্রয়ে দুর্নীতির কথা অস্বীকার করেন এরশাদ। মামলার অপর দুই আসামি বিমান বাহিনীর সাবেক সহকারী প্রধান মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও সুলতান মাহমুদও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
মামলার আসামি একেএম মুসা শুরু থেকেই পলাতক আছেন। মামলাটি নিষ্পত্তিতে মোট ১২ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
১৯৯২ সালের ৪ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো মামলাটি দায়ের করে। ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
অভিযোগে বলা হয়, তৎকালীন বিমান বাহিনী প্রধান সদর উদ্দিন আহমেদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কাছে বাহিনীর জন্য যুগোপযোগী রাডার ক্রয়ের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানি নির্মিত অত্যাধুনিক একটি হাই পাওয়ার রাডার ও দু’টি লো লেভেল রাডার ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।
তৎকালীন সেনাবাহিনী প্রধান এরশাদসহ অপর আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে থমসন সিএসএফ কোম্পানির রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিং কোম্পানির রাডার কেনেন। এতে সরকারের ৬৪ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়।