জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে আজ বুধবার সকালে বাহাদুরাবাদ পয়েন্ট যমুনার পানি বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
পানির প্রবল তোড়ে মাদারগঞ্জ উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়নের চর নাদাগাড়ি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের প্রায় ১০০ মিটার এলাকা ভেঙ্গে প্রবল বেগে বন্যার পানি ঢুকে পড়ে বিস্তীর্ণ জনপদে। এতে সুখনগরী, পূর্ব সুখনগরী, নাদাগাড়ি, শিলকাটি, তারতাপাড়া, জোড়খালীসহ অন্তত ১৫টি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বালির বস্তা ফেলে বাঁধের প্রবল স্রোত ঠেকানোর চেষ্টা করছে।
দু'সপ্তাহ যাবত জেলার পানিবন্দী দুই লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। কাজ নেই, ঘরে খাবার নেই, মিলছে না ত্রাণ। এই দুর্ভোগের মধ্যে মরার উপর খাড়ার ঘার মতো দুর্গত এলাকায় রাতের বেলা বেড়েছে চোর-ডাকাতের উপদ্রব। প্রায় প্রতিরাতেই কোন না কোন এলাকায় ঘটছে চুরি-ডাকাতির ঘটনা।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ ২৭ মে.টন চাল আর শুকনো খাবারের জন্য ৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে জেলায় ৬০ মে.টন চাল আর নগদ ৯ লাখ টাকার শুকনো খাবার বিতরণ করা হলো।
জামালপুরের জেলা প্রশাসক মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, আমাদের হাতে পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রয়োজনমাফিক ত্রাণ বিতরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, চোর ডাকাতের উপদ্রব রোধে উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পর্যায়ে টহল পুলিশের ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।