রাজধানীর মগবাজারে তিন খুনের অন্যতম সন্দেহভাজন কালাবাবু ওরফে কাইল্যা বাবুকে নিয়ে জনমনে যথেষ্ট কৌতূহল দেখা দিয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মন্তব্য, কাইল্যা বাবু খুন করে পালিয়ে বেড়ান বলে। কিন্তু কে এই কাইল্যা বাবু?
সূত্র জানায়, বিদেশে আত্মগোপন করা শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান-রনি গ্রুপের অন্যতম ক্যাডার এই কাইল্যা বাবু। ২০১৩ সালের ২৭ অক্টোবর কাশিমপুর-১ কারাগার থেকে জামিনে ছাড়া পান রনি। মুক্তির এক সপ্তাহ পর গুলশানের একটি কমিউনিটি সেন্টারে তার বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। এরপর নববধূসহ তিনি দুবাইয়ে পাড়ি জমান। দুবাইয়ে বসেই মগবাজার এলাকার ডিশ ব্যবসা থেকে মাসে ১২ লাখ টাকা চাঁদার কমিশন পেতেন রনি।
রনি দুবাই চলে যাওয়ার পর তার সাম্রাজ্য দেখাশুনার দায়িত্ব পান জাকির ও কাইল্যা বাবু। এরপরই কাইল্যা বাবু মগবাজার এলাকায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন। এদিকে, ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মাহবুবুর রহমান রানা দুবাইয়ে রনির কাছে চাঁদা পাঠানো বন্ধ করে দিয়ে নিজেই একটি দল গড়েন। এরপরই রনির নির্দেশে জাকির-কাইল্যা বাবুর হাতে খুন হন রানা।
গত ২০ মার্চ মগবাজারের ওয়্যারলেস গেট এলাকার টিএন্ডটি কলোনির আনসার ক্যাম্পের আনসার সদস্য আব্দুল আলীম খুন হন। রনির আরেক ক্যাডার জাকির গ্রুপ এই খুন করে বলে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।
চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি মগবাজার মসজিদ গলিতে ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মাহবুবুর রহমান রানাকে প্রকাশ্যে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই খুনের ঘটনায় পুলিশ কাইল্যা বাবু গ্রুপের কামরান, সালাম, বাদশাসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করলেও তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
সূত্রমতে, গত বৃহস্পতিবারের হত্যাকাণ্ডটি দুবাইয়ে পলাতক সন্ত্রাসী তানভীরুজ্জামান খান রনির ইঙ্গিতে কালাবাবু ঘটিয়েছেন বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।