বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পূত্র আরাফাত রহমান কোকোর অকাল মৃত্যুতে আনুষ্ঠানিকভাবে শোক প্রকাশ করেছে আওয়ামী লীগ। কোকোর মাগফেরাত কামনা করে দলটি আশা প্রকাশ করেছে, বিএনপি তাদের সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডি কার্যালয়ে আজ রবিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। এ সময় আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পূত্র আরাফাত রহমান কোকোর অকাল মৃত্যুতে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। বেগম খালেদা জিয়া ও তার পরিবারবর্গের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাই। মহান আল্লাহর কাছে আমরা প্রার্থনা করি তারা যেন এই শোক কাটিয়ে উঠতে পারেন।’
আরাফাত রহমানের মৃত্যুর পরও কর্মসূচি প্রত্যাহার না করা প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে বলেন, “আশা করি তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। কোকোর আত্মার শান্তি কামনা করে তারা পেট্রলবোমা-সন্ত্রাসী কর্মসূচি প্রত্যাহার করবে।’
শনিবার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যাওয়ার বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ১৫ আগস্ট জন্মদিন না হওয়া সত্ত্বেও খালেদা জিয়া মিথ্যা জন্মদিন পালন করেন। তারপরও সবকিছু ভুলে গিয়ে, প্রধানমন্ত্রী সমস্ত প্রটোকল ভেঙে সমবেদনা জানাতে তার গুলশানের কার্যালয়ে ছুটে গিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আগেই বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়কে প্রধানমন্ত্রীর আগমনের খবর জানিয়ে দিয়েছিল। এরপরই প্রধানমন্ত্রী সেখানে যান। বেশ কয়েক মিনিট প্রধানমন্ত্রী দাঁড়িয়ে ছিলেন। এরপর গাড়িতে এসেও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। গাড়ি স্টার্ট দেয়ার পরও তিনি কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন। অথচ প্রধানমন্ত্রীকে সৌজন্য দেখিয়ে কেউ অভ্যর্থনা জানাননি। এ ধরনের আচরণ রাজনৈতিক ও সামাজিক শিষ্টাচারবহির্ভূত, অপমানজনক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের লঙ্ঘন।
হাছান মাহমুদ বলেন, “বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, খালেদা জিয়াকে চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছিল। বুঝলাম তিনি ঘুমে ছিলেন। কিন্তু বিএনপির অন্য সিনিয়র নেতারা কী প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে পারতেন না? এ ধরনের ঘটনা আমাদের দেশে অতীতেও ঘটেনি, হয়তো ভবিষ্যতেও ঘটবে না। এটা বাংলাদেশের সামাজিক শিষ্টাচারে কালো দাগ হিসেবে থাকবে। কারণ, প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তি নন। তিনি একটি প্রতিষ্ঠান।
বিডি-প্রতিদিন/২৫ জানুয়ারি, ২০১৫/মাহবুব