ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. এম আহিদুজ্জামান চাঁন বলেছেন, বাংলাদেশে রাজনীতির নামে যা হচ্ছে বিশ্বের কোথাও এমন সন্ত্রাসবাদের নজির নেই। রাজনৈতিক কর্মসূচি হলে সেটা রাজনৈতিক কর্মীকে টার্গেট করা হতো। কিন্তু এখানে সাধারণ মানুষকে টার্গেট করা হচ্ছে।
শনিবার (৭ মার্চ) রাজধানীর হোটেল লেক শো’রে রিজিওনাল এন্টি টেরোরিস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট (আরএটিআরআই) আয়োজিত 'সহিংসতা, জঙ্গিবাদ, সংলাপ ও বাস্তবতা' শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ বলেন। আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আরএটিআরআই নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) একে মোহম্মদ আলী শিকদার।
ঢাবির এ শিক্ষক বলেন, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই'র অর্থায়নে বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জিয়া ক্ষমতায় এসে পাকিস্তানের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছিলেন। আমাদের সংবিধানে নানা সংশোধনী এনে তিনি যে বিষবৃক্ষ রোপণ করেছিলেন, তা আজ মহীরূহ আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ভাবাদর্শে প্রতিষ্ঠা করতে চান তারা।
তিনি আরও বলেন, ২০০১ সালে নির্বাচন পরবর্তী যে ঘটনা ঘটেছে তা ভুলে গেলে চলবে না। সেদিন কীসের প্রতিরোধ ছিল। তখনতো বিএনপি-জামায়াত জোটই ক্ষমতায় ছিল। তখন কী কারণে সারাদেশে সন্ত্রাসবাদ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।
বিএনপির সঙ্গে সংলাপের আহ্বানকারীদের সমালোচনা এই শিক্ষাবিদ বলেন, যারা বলেন কাতারে তালেবানের সঙ্গে বৈঠক হলে, জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে নয় কেন? তাদের কাছে প্রশ্ন আমার, আমরা কি আফগানিস্তানকে অনুসরণ করবো? স্যারেন্ডার করলে আফগানিস্তানের চেয়েও ভয়াবহ একটি আফগানিস্তান তৈরি হবে বাংলাদেশ।
আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন- বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হারুন অর রশিদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মিজানুর রহমান, ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির উপাচার্য ড. মুহাম্মদ সামাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড ইনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিপার্টমেন্টের ডিন অধ্যাপক মাকসুদ কামাল, ক্রিমিনোলজি বিভাগের ডিন ড. জিয়া রহমান, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যপক ড. জিনাত হুদা, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, জাপান স্টাডি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ প্রমুখ।
কূটনীতিক ও রাজনীতিবিদদের মধ্যে গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ওয়ালিউর রহমান, সাবেক মন্ত্রী জি এম কাদের, জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান, সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান, আবু হেনা, শহীদুল হক জামাল, গোলাম মাওলা রনি ও বাসদের প্রেসিডিয়াম সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন।
ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের মধ্যে অংশ নিচ্ছেন ইসলামী চিন্তাবিদ হাফেজ মওলানা জিয়াউল হাসান, শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের পেশ ইমাম মাওলানা ফরিদউদ্দীন মাসুদ প্রমুখ।
সাংবাদিক ও অর্থনীতিবিদদের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খান, বৈশাখী টেলিভিশনের সিইও মনজুরুল আহসান বুলবুল, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ও অভিনেত্রী শমী কায়সার।
আইনজীবীদের মধ্যে গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট স ম রেজাউল করিম, এম এম আমিনুদ্দিন ও অ্যাডভোকেট মো. মহসিন।
ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন- ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদাক মোস্তফা কামাল মহিউদ্দিন, এফবিসিসিআই’র সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ, সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, বিজিএমইএ’র সভাপতি আতিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম, বিকেএমইএ সহ-সভাপতি এসএম আসলাম সানি, ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বারের বিশেষ উপদেষ্টা আব্দুল মতলুব আহমেদ, উইমেন চেম্বারের সাবেক সভাপতি সঙ্গীতা আহমেদ, বিজেএমইএ’র সাবেক সভাপতি শফিউল আলম মহিউদ্দিন ও আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ।
এই গোলটেবিল আলোচনার মিডিয়া পার্টনার দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এশিয়ান টিভি, একাত্তর টেলিভশন ও এসএ টিভি।
বিডি-প্রতিদিন/০৭ মার্চ ২০১৫/ এস আহমেদ