বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা বলেছেন, 'জাতীয় সংসদ ডাকাতদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। অচিরেই এই আস্তানাকে গুঁড়িয়ে দিতে হবে। তা না হলে দেশের মানুষের শান্তি আসবে না'।
নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় রবিবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের একটি রেস্তোরাঁয় গ্রেটার ঢাকা জাতীয়তাবাদী ফোরাম অব নর্থ আমেরিকা আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ‘গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় খোকা বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বর্তমান সংসদ ভোট চোর ও ডাকাতদের আস্তানা হয়েছে। ‘শেখ হাসিনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ করে র্যাবকে যেভাবে খুন খারাবি শেখাচ্ছেন ভবিষ্যতে চাকরি হারালেও এরা একই কাজ করবে। কারণ তাদের এ খুনের নেশা সহজেই দূর হবে না।’
তিনি আরও বলেন, 'শেখ হাসিনার সরকারকে একাত্তরের ইয়াহিয়া খানের ২৫ মার্চের সরকারের সঙ্গে তুলনা করা যায়। অর্থাৎ দখলদার সরকার। রাজনৈতিক দখলদারিত্ব রক্ষা করতে বিশেষ এলাকার পুলিশ বাহিনীকে দিয়ে দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। যা একাত্তরে ইয়াহিয়া সরকার করেছিল। বর্তামানে বাংলাদেশে একই অবস্থা বিরাজ করছে।’ খোকা বলেন,‘১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। কিন্তু দুদিন আগেও ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত হানাদার বাহিনীরা ঢাকা থেকে বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে রায়ের বাজারের বদ্ধভূমিতে হত্যা করেছিল। দেশের আশিভাগ এলাকা তখন হানাদারমুক্ত হয়েছিল। শুধু ঢাকাকে তারা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেয়েছিল। একই স্টাইলে ঢাকাকে নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন শেখ হাসিনার সরকারও।’
এ প্রসঙ্গে সাদেক হোসেন খোকা প্রয়াত বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামনিস্ট এবিএম মুসার একটি মন্তব্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী ঢাকা শহরের প্রধানমন্ত্রী। দেশের অন্যকোনো এলাকা তার নিয়ন্ত্রণে নেই'। শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্যেও সেটার প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের আন্দোলন শুরু হওয়ার পর ১৪ দলের মিটিং হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছিল সংসদ সদস্যরা নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে শান্তি কমিটি গঠন করবে। কিন্তু বিএনপির আন্দোলনের চাপের মুখে কোনো এমপি, মন্ত্রী সংসদ বা ঢাকার বাইরে যেতে পারছেন না। এর মানে এটাই যে, ঢাকার বাইরে ঠিকই আন্দোলন হচ্ছে। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার এমপি ও মন্ত্রীদের সতর্ক করে সাবধানে চলাচল করতে বলেছেন।’
বিডি-প্রতিদিন/ ১০ মার্চ, ২০১৫/ রোকেয়া।