নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন আজ বৃহস্পতিবার। তবে কখন তিনি ছাড়া পাচ্ছেন তা স্পষ্ট নয়।
এদিকে, হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার পরই তাকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যেতে আদালতে আবেদন জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। জানা গেছে, আদালতের সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত তিনি কারাগারেই থাকবেন।
বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা ও অজ্ঞাত এক ব্যক্তির সঙ্গে গোপন ফোনালাপের পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে বনানীর এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। এর প্রায় ২১ ঘণ্টা পর তাকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করে র্যাব। পরে দুই মামলায় মান্নাকে দুই দফায় ১০ দিন করে ২০ দিন রিমান্ডে নেওয়া হয়। দ্বিতীয় দফা রিমান্ড চলকালীন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ১০ মার্চ তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভর্তির পর থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন মাহমুদুর রহমান মান্না। তার শারীরিক অবস্থার কথা জানতে চাইলে ঢামেকের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী বলেন, তিনি ভালো আছেন, এখন বুকের ব্যথা নেই, রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে। তার অবস্থা স্থিতিশীল। মান্নার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
হাসপাতাল থেকে সরাসরি তাকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে, নাকি আদালতে হাজির করা হবে সেটা জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মাহফুজুল ইসলাম বলেন, দ্বিতীয় দফায় মান্নার ১০ দিনের রিমান্ডের তিন পর তিনি অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফলে তারা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিন সময় পেয়েছেন। এজন্য গত ১৬ মার্চ গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে একটি আবেদন করা হয়। আবেদনে রিমান্ডের বাকি দিনগুলো পুনর্বহাল কিংবা নতুন করে জিজ্ঞাসাবার জন্য সময় দেওয়া হোক। তবে বুধবার পর্যন্ত আদালতের সিদ্ধান্তের বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
বিডি-প্রতিদিন/১৯ মার্চ, ২০১৫/মাহবুব