দীর্ঘ ২৩ বছর পর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে কুমিল্লায়। আর এ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করতে আগামী সোমবার কুমিল্লা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে ১৯৯২ সালে কবি নজরুলের জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠান কুমিল্লায় জাতীয়ভাবে উদযাপিত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কুমিল্লায় আগমন উপলক্ষে এখন জেলার সর্বত্র উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। তাকে বরণ করতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সংস্কৃতিকর্মী, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে এরইমধ্যে গোয়েন্দা নজরদারিতে নিয়ে আসা হয়েছে পুরো জেলা। অনুষ্ঠানের সার্বিক প্রস্তুতি প্রতিদিনই পরিদর্শন করছেন এসএসএফসহ উচ্চপদস্থ গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে নগরীর বিভিন্ন স্থানের নজরুল স্মৃতিচিহ্নগুলোও সংস্কার করা হচ্ছে।
কুমিল্লার সিনিয়র তথ্য অফিসার মীর হোসেন আহসানুল কবীর জানান, আগামী ২৫, ২৬ ও ২৭ মে কুমিল্লায় তিন দিনব্যাপী জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকীর কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ২৫ মে প্রধানমন্ত্রী কুমিল্লা টাউন হলের মাঠে জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন। জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানের আগে ওই মাঠের ভাষা সৈনিক রফিকুল ইসলাম মঞ্চে ১০টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৭টি প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এ সব প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪৩ কোটি ৩৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক, কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ও নজরুল ইনস্টিটিউটের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি প্রফেসর এমিরিটাস রফিকুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আক্তারী মমতাজ। নজরুল স্মারক বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অধ্যাপক শান্তনু কায়সার।
ওদিকে, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে কুমিল্লায় বিভিন্ন দাবি উঠেছে। তিনি এবার কুমিল্লা বিভাগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন বলে মনে করছেন অনেকে।
অন্যদিকে, লাকসামকে জেলা ঘোষণা, সদর দক্ষিণ ও লাকসামের একাংশ নিয়ে ময়নামতি উপজেলা ও মুরাদনগরের একাংশ নিয়ে কাজী নজরুল উপজেলার দাবি জানানো হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/২৩ মে ২০১৫/ এস আহমেদ
