আগামী তিনদিনের মধ্যে আটক শ্রমিকদের মুক্তি ও ‘দোষী পুলিশ’ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সারা বাংলাদেশে পরিবহন ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা।
শনিবার দুপুরে যশোর বাস মালিক সমিতি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে খুলনা বিভাগীয় মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আলী আকবার লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক সাদেক হোসেন ও খুলনা বিভাগীয় মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক আজিজুল আলম মিন্টু প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে আলী আকবার বলেন, গত ১৯ মে ফরিদপুরে তিন পরিবহন শ্রমিককে আটকের প্রতিবাদে প্রথমে খুলনা বিভাগের ছয় জেলায় শুরু হয় অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট। খুলনা বিভাগীয় মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের বেঁধে দেওয়া সময় বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে আটক শ্রমিকদের মুক্তি না দেওয়া এবং ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) ও মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহার না করায় নতুন করে ২২ মে ভোর থেকে খুলনা বিভাগের সব রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এরপরও সংকট সমাধানে প্রশাসনিক উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে শ্রমিকদের যৌক্তিক এ আন্দোলন থেকে পিছু হটার কোনো পথ নেই।
রাজশাহী, বরিশাল, ঢাকাসহ সব বিভাগের মালিক-শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে আটক শ্রমিকদের মুক্তি ও দোষী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সারা দেশে পরিবহন ধর্মঘট শুরু করা হবে।
এদিকে, লাগাতার বাস ধর্মঘটে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। পাঁচ দিন ধরে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরিবহন শ্রমিকরা কোথাও কোথাও স্থানীয়ভাবে নির্মিত যন্ত্রযান (নসিমন, করিমন, আলমসাধু প্রভৃতি) চলাচলেও বাধা দিচ্ছে। এতে বাস ধর্মঘটের কারণে অস্বাভাবিক চাপ বেড়েছে ট্রেন ও এয়ারলাইন্সগুলোর ওপর। হাজার হাজার মানুষ ছুটছেন রেলজংশন ও স্টেশনগুলোতে। কিন্তু টিকেট মিলছে না।
বিডি-প্রতিদিন/২৩ মে, ২০১৫/মাহবুব