ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের এক দিন আগেই ঢাকায় পা রাখছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, তিনি ফিরেও যাবেন এক দিন আগে!
ভারতে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির টানাপোড়েনের কারণে অনিশ্চয়তা দেখা দিলেও শেষ পর্যন্ত মমতা তার দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ঢাকা আসছেন বলে গত বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
শনিবার মমতা নিজেই তার ঢাকা সফরের কথা কলকাতায় সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন বলে পিটিআই জানিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বলেন, 'আমি ৫ জুন বাংলাদেশে যাব এবং সীমান্ত চুক্তি সইয়ের পর ৬ জুনই ফিরে আসব।'
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা আসবেন ৬ জুন। দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত স্থল সীমান্ত চুক্তি ও প্রটোকল কার্যকরে সব বাধা দূর হওয়ার পরই ঢাকা আসছেন তিনি।
২০১১ সালে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সফরসঙ্গীর তালিকাও ছিল মমতার নাম কিন্তু শেষ মুহূর্তে তিনি নিজেকে সফর থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। সব প্রস্তুতি থাকার পরও মমতার আপত্তির কারণে তখন আটকে যায় তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে দুই দেশের চুক্তি সই।
সাবেক কংগ্রেস নেত্রী মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেস এক সময়ে বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধলেও এখন তাদের সম্পর্ক অনেকটাই সাপে-নেউলে। বিজেপি নেতা মোদির কঠোর সমালোচক তিনি। এসব মিলিয়ে মমতা ঢাকা সফরে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আসছেন না বলে ভারতের গণমাধ্যমে কয়েকদিন আগেই খবর প্রকাশ হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত মমতা রাজি হলেও স্পষ্ট করলেন যে মোদির সফরের একদিন আগেই তিনি ঢাকা আসছেন।
২০১১ সালে মনমোহনের সফর এড়িয়ে গেলেও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ সফর করে গেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তখন বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণে ভূমিকা রাখবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান তিনি। তিস্তা চুক্তির জট খোলার আশা ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হলেও এ বিষয়ে মমতার স্পষ্ট বক্তব্য এথনো আসেনি।
বিডি-প্রতিদিন/৩১ মে ২০১৫/শরীফ